১৩ মে ২০২২, ২০:২৭ মিঃ
বাংলাদেশ দল সবশেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও ব্যাটিং দৈন্য ফুটে উঠেছে টেস্ট সংস্করণে। ব্যটিং ব্যর্থতায় ডারবানের পর পোর্ট এলিজাবেথেও হার বাংলাদেশ দলের। যেখানে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হতে হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। চাপে মুখে যেখানে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করে দলের ফলোঅন এড়ানোর দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে, সেখানে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ রিভার্স সুইপে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন মুশফিক।
মুশফিকের এই ‘রোগ’ অবশ্য নতুন কিছু নয়। মুশফিক আর সুইপ বিতর্ক যেন একে
অন্যের পরিপূরক! সুইপ আর রিভার্স সুইপ- এই দুটি শট খেলতে গিয়ে ক্যারিয়ারে
বহুবার নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার আউটের
ধরনের কারণে প্রতিবারই প্রশ্ন উঠেছে, তবে সেসব আমলে নিতে নারাজ মুশফিক।
সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সুইপের সঙ্গে স্কুপ করতে দেখা গেছে তাকে। সম্প্রতি রান খরায় ভোগা এই ব্যাটসম্যান সেখানেও বাধিয়েছেন গড়বড়। এবার শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে প্রশ্ন উঠল মুশফিকের সুইপ প্রসঙ্গ নিয়ে। যেখানে মুশফিকের কাঁধ থেকে যেন সমর্থনের হাতটা সরে গেল বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। আগে মুশফিকের সুইপকে প্রশংসায় ভাসালেও কখন এই শটস খেলতে হয় সেই সময়জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ডমিঙ্গো।
ডমিঙ্গো বলছিলেন, ‘সে দারুণ একজন রিভার্স সুইপার, যে রিভার্স সুইপ থেকেই অতীতে অনেক রান পেয়েছে এবং এই শটে সে আত্মবিশ্বাসী। একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হলে প্রথম ২০-৩০ বলেই কভার ড্রাইভিং করতে গেলে আপনি চাপে থাকবেন। ৫০-৬০ রানের পর কভার ড্রাইভ খেলা ঠিক আছে। রিভার্স সুইপের ব্যাপারটিও তাই। কখন খেলছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘কেউ কোনো শট ভালো খেললে, এই শটকে ভালো অপশন মনে করলে এতে সমস্যা নেই। শট খেলার সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। কখন এবং কেন এই শট খেলা প্রয়োজন তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।’
এতদিন সতীর্থ, অধিনায়ক, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সুইপ আর রিভার্স সুইপ খেলার অভয় পেয়েছেন মুশফিক। এবার সেই জায়গাগুলোও যেন বন্ধ হচ্ছে একে একে।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :