, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

আফ্রিকায় ১৩০ কোটি ডলারের বাজারের হাতছানি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

আফ্রিকায় ১৩০ কোটি ডলারের বাজারের হাতছানি

ইসোয়াতিনিতে (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) ব্যবসা বাড়ালে আফ্রিকায় ১৩০ কোটি ডলারের বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারে বাংলাদেশ। তাই ইসোয়াতিনির সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মানকোবা খুমালু।

আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকা সফররত ইসোয়াতিনির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।

তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আফ্রিকা মহাদেশের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করতে পারে ইসোয়াতিনি। তার দেশ সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এসএডিসি) ও সাউদার্ন আফ্রিকান কাস্টমস ইউনিয়নের (এসএসিইউ) সদস্য। তাই আয়তনে ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে ছোট হলেও, ইসোয়াতিনিতে ব্যবসা স্থাপন করার মাধ্যমে আফ্রিকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্লকের বাজার ধরা সম্ভব।

সভায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ও শুল্কছাড়সহ নানা সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করেন মানকোবা খুমালু। তিনি বলেন, ইসোয়াতিনি অনেক পণ্য আমদানি করে, যেগুলোর বেশিরভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। কিন্তু তার দেশ বাংলাদেশকে তাদের অন্যতম একটি বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে দেখতে আগ্রহী। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের জন্য ইসোয়াতিনি একটি সম্ভবনাময় বাজার।

দুদেশের যৌথ অংশীদারত্বের মাধ্যমেও দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে উৎসাহী আফ্রিকার দেশটি। সিনেটর মানকোবা খুমালু জানান, ওষুধ শিল্প, বায়ো-টেক, কনট্রাক্ট ফার্মিং ও আইসিটি খাতে ইসোয়াতিনির পুঁজি ও বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা যৌথভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

এর আগে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, বাংলাদেশ ও ইসোয়াতিনির মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে এফবিসিসিআই ও আফ্রিকার দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ীক সংগঠনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হতে পারে। 

মালয়েশিয়া থেকে ইসোয়াতিনির ভিসা নিতে হয় উল্লেখ করে বাংলাদেশে হাইকমিশন স্থাপনের আহ্বান জানান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। একই সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে ভবিষ্যতে প্রতিনিধিদলের আদান-প্রদান, ওয়েবিনার, বিটুবি বৈঠক আয়োজন করা যেতে পারে বলে মত দেন মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন সহ-সভাপতি আমীন হেলালী। এর আগে বৈঠকে ইসোয়াতিনিতে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক পণ্যের সংযোজন সম্ভাবনা, পারস্পরিক পর্যটন উন্নয়ন সহযোগীতা বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসোয়াতিনির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সেবিলি আমান্ডা এনহ্লাবাটসি, এমএসএমই-এর পরিচালক এমলুলেকি সাখিলে দলামিনি, ইসোয়াতিনি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিনিয়র নির্বাহী ব্যবস্থাপক ড. খানইসিয়ি দলামিনি, দেশটির বাংলাদেশ বিজনেস কমিউনিটির প্রতিনিধি মোহাম্মেদ আশরাফুল আলম চৌধুরী, বদরুজ্জামান চৌধুরী ও বদরুল আলম চৌধুরী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার, হাফেজ হারুন, আসলাম সেরনিয়াবাত, নাসের, আবু হোসেন ভুঁইয়া (রানু), মোহাম্মদ আলী খোকন, উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ ও ব্রিগে. জেনারেল (অব) আবু নাঈম শহীদুল্লাহসহ অন্যান্যরা। 
সভা পরিচালনা করেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। সভা শেষে প্রতিনিধি দল এফবিসিসিআই মুজিব কর্নার পরিদর্শন করেন।

  • সর্বশেষ - অর্থ-বাণিজ্য