১১ সেপ্টেম্বার ২০২২, ২১:০২ মিঃ
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিনই বটে। নানান কারণে রানি আলোচনায় থাকেন। ব্রিটেনের রাজা-রানিরা শুধু ইংল্যান্ডের কাছে নয়, পুরো পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। একটা প্রজন্ম জন্ম থেকেই অভ্যস্ত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দেখে।
রানির মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ যুক্তরাজ্যসহ গোটা বিশ্ব। ৭০ বছর রাজ সিংহাসনে ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বাকিংহাম প্যালেসের ভেতরে রানির মৃত্যু সংক্রান্ত সাংকেতিক ভাষা ছিল ‘লন্ডন ব্রিজ ইজ ডাউন’। গত ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে বাকিংহাম প্যালেসে মারা যান তিনি।
ছোটবেলায় তারকা খ্যাতি পেয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। মাত্র এক বছর বয়সে, ১৯২৭ সালে, এলিজাবেথের ছবি ছাপা হয় ভোগ ম্যাগাজিনে। তিন বছর বয়সে মা ডাচেস অব ইয়র্কের সঙ্গে রানির ছবি ছাপা হয় বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে। যে ছবি খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছোট্ট এলিজাবেথকে তারকা করে তুলেছিল। ছবিটি তুলেছিলেন রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির বিখ্যাত আলোকচিত্রী মার্কাস অ্যাডামস।
দিনে চারবেলা খাবার খেতেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তবে তা পরিমাণে থাকত খুবই কম। দিন শুরু করতেন চা দিয়ে। খুবই হালকা চা সঙ্গে কুকিজ থাকত তার সকালের নাস্তায়। আবার বিকেলে চা পানের পালা। চায়ের সঙ্গে জ্যাম আর স্কোন থাকে এসময়। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন, বিকেলের চা না হলে চলতই না রানির।
খুবই হালকা আর্ল গ্রে চা পান করতেন তিনি। ভারতের আসামের সিলভার টিপস ইম্পেরিয়াল চায়ের সুগন্ধ তিনি খুবই পছন্দ করতেন। ড্যারেন ম্যাকগ্রেডি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যক্তিগত পাচক হিসেবে ১৫ বছর বাকিংহাম প্যালেসে কাজ করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় দুইবার রানির ভ্রমণের সময় তিনিও সঙ্গে গিয়েছিলেন।
তিনি তার লেখা একটি বইতে রানির চায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেছেন। দুধ বা চিনি ছাড়া চায়ের সঙ্গে কখনো কুকিজ, কখনো স্যান্ডউইচ বা কেক খেতেন রানি। এছাড়াও ওয়াইন ও ককটেল ছিল তার অন্যতম পছন্দের পানীয়।
আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট
একজন পরাক্রমশালী ও বিশ্বের
বৃহত্তম সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। তার পছন্দের পানীয়
ছিল রেড ওয়াইন। তিনি বিশ্বাস করতেন ওয়াইন তাকে নতুন করে উজ্জীবিত করে
তোলে। এজন্য প্রতিদিনই তিনি নিয়ম করে রেড ওয়াইন পান করতেন। তবে মাত্র ৩৩
বছর নয়সেই মারা যান আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।
অনেকেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত মদ্যপানকে দায়ী করেছিলেন। তিনি এতোটাই মদ্যপান করতেন যে সেসময় কি করতেন তার কোনো ঠিক ছিল না। প্রাচীন গল্প অনুসারে, একবার মদের প্রভাবে আলেকজান্ডার পারস্যের শহর পার্সেপোলিসকে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
১৯ শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপের
বেশিরভাগ অংশ জয় করেছিল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। তিনি ওয়াইন খুব পছন্দ করতেন।
প্রতিদিনই ওয়াইন পান করতেন। এমনকি ভ্রমণের সময়ও ওয়াইন সঙ্গে করে নিয়ে
যেতেন। যুদ্ধের ময়দানেও ওয়াইন পান করার কথা ভুলতেন না তিনি। তিনি শুধু
স্বাদের জন্যই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য ওয়াইন পান করতেন।
রাজা তুতানখামুন
মিশরের অন্যতম ফারাও তুতেনখামুন
ছিলেন ওয়াইনের ভক্ত। সেসময় মিশরেই বিশ্বের সেরা ওয়াইন তৈরি করা হয়। এমনকি
এখনো বিশ্বের যেসব দেশে ওয়াইন তৈরি হয় তার মধ্যে মিশরের ওয়াইন বিখ্যাত।
রাজা তুতেনখামুন হোয়াট ওয়াইন খেতেন। তবে রেড ওয়াইনও খুব পছন্দ ছিল তার।
প্রাচীন মিশরে ওয়াইনকে স্ট্যাটাস সিম্বল বলে মনে করা হতো। এমনকি
তুতেনখামুনের সমাধিতেও দেওয়া হয়েছিল অনেকগুলো ওয়াইনের জার।
রাজা লুই চতুর্দশ
ফ্রান্সের রাজা লুই চতুর্দশ
ফ্রেঞ্চ শ্যাম্পেন এতটাই পছন্দ করতেন যে, তার সব খাবারে এই পানীয় মিশিয়ে
দেওয়া হত। বপ্লা যায় যাই খেতেন তার সঙ্গেই মেশানো থাকত শ্যাম্পেন।
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের শ্যাম্পেন নামক একটি স্থান থেকে সংগ্রহ করা হত এই
পানীয়। ওই অঞ্চলটিতে বিশ্বের সেরা শ্যাম্পেন এবং প্রসেকো তৈরি হত। জন্য
পরিচিত ছিল। ধারণা করা হয়, অঞ্চলটির নামানুসারেই এই পানীয়র নামকরণ করা হয়
শ্যাম্পেন। তবে চিকিৎসকরা রাজাকে এই পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিতেন সব
সময়। পেটের নানান রকম রোগে ভুগছিলেন তিনি। যার জন্য শ্যাম্পেন ছিল খুবই
ক্ষতিকর।
রানি ভিক্টোরিয়া
রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে স্কচ,
হুইস্কি দিয়ে তৈরি এক ধরনের ককটেল তৈরি হত। যা রানি ভিক্টোরিয়ার ছিল খুবই
পছন্দের পানীয়। এটিকে তিনি রাজকীয় পানীয় হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
গ্রীষ্মকালে, রানী ভিক্টোরিয়া স্কটল্যান্ডের উচ্চভূমিতে রাজকীয় বালমোরাল
প্রাসাদে হুইস্কি পান করতে পছন্দ করতেন। এছাড়াও ক্লারেট, চা এবং সোডা পানির
সঙ্গে হুইস্কি মেশানো এক ধরনের মিশ্রণ খেতে খুবই পছন্দ করতেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
উপদেষ্টা সম্পাদক: দীপক মজুমদার
সম্পাদক: মীর আক্তারুজ্জামান
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :