মেয়র টিটুকে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে চান অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটুকে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে চান অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সমর্থক। তারা শনিবারের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে টিটুকে সভাপতি করার জোর দাবি জানিয়েছেন। সূত্র মতে, নানান কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গুরুত্ব পাচ্ছে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব। অন্যদিকে কেন্দ্র চাচ্ছে মহানগরের নেতৃত্ব শক্তিশালী করতে। যিনি রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক সময় দিবেন এমন একজনকে সভাপতি নিযুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পছন্দ মেয়র ও মহানগরের সহ-সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু। অনেকের ধারণা, একমাত্র তিনিই পারবেন সকল নেতাদের একত্রিত করে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং ক্লিন ইমেজের টিটু মহানগরের নেতৃত্ব পেলে অল্প সময়ের মধ্যেই আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করতে পারবেন। নেতা-কর্মীরা এমনিতেই তার কথায় উদ্বুদ্ধ এবং উৎসাহিত হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু নানান কারণে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয়। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেলে পুরো সময় রাজনীতির জন্য ব্যয় করবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করেছেন।
মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অসহায়দের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ এবং জনসচেতনতার জন্য অক্লান্ত শ্রম দেন। অসহায়দের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রায় ১ লাখ, ব্যক্তিগত তহবিলের ৫৫ হাজার এবং সংগ্রহ করা ৬ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য বিতরণ করেন। সংক্রমণ প্রতিরোধে নাগরিকদের জন্য কাজ করে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন। দাগ কেটেছেন কোটি মানুষের হৃদয়ে। জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিকে মহানুভবতার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিয়েছেন ময়মনসিংহবাসী। এটি মেয়র টিটু’র প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্লেষকদের মতে, মেয়র টিটু ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে আন্দোলিত করেছেন নগরীর লাখ লাখ মানুষকে। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। আমূল পরিবর্তন করায় দেশব্যাপী অনুকরণীয় জনপ্রতিনিধিতে পরিণত হয়েছেন। মেয়র টিটু সম্পর্কে মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা বলেছেন, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, বিচক্ষণতা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সততা, আদর্শ, জনপ্রিয়তা এবং ক্লিন ইমেজ সবই আছে তার মধ্যে। তিনি সব সময় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলে তিনি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বেগবান করার পাশাপাশি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অতিমাত্রায় উজ্জীবিত করতে পারবেন। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগরের সহ-সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ মোঃ ইকরামুল হক টিটুকে বিভিন্ন প্রয়োজনে চাইলেই কাছে পান। একইভাবে মহানগর আওয়ামী লীগের ‘অভিভাবক’ হিসেবে সার্বক্ষণিক কাছে পাওয়ার মতো নেতা মোঃ ইকরামুল হক টিটু।

ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ শওকত ওসমান লিটন, শাহরিয়ার মোহাম্মদ রাহাত খান ও এইচ এম ফারুক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম মিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আল আমিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন অলি, জেলা শ্রমিক লীগ একাংশের আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম শাহীন, যুগ্ম আহবায়ক জামাল আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম জুয়েল, জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকার, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনূর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আব্দুল্লাহ, মহানগর কৃষক লীগের সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম রায়হান, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পুলক রায় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীমা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশিদা তাহমিনা প্রীতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান ইমন, মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক নওশেল আহমেদ অনি, যগ্ম আহবায়ক শাহীন আলম, মজিদুর রহমান আকাশ, ফাহিম ফেরদৌস ফুয়াদ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপম সাহা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তায়েফ খন্দকার রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি একে এম আনিসুজ্জামান দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা আক্তার বেবী, মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহবায়ক শারমীন লাকী, মহানগর মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক আরজু শেখ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা মোঃ ইকরামুল হক টিটুকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রত্যাশা করছেন। এ সব নেতা এবং তাদের সমর্থকরা মেয়র টিটু’র পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পিভিসি, প্যানা, ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও গেট নির্মাণ করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি তাদের একটাই ‘টিটু ভাইকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি’ হিসেবে দেখতে চাই।
ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের বহুল কাঙ্খিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী শনিবার। শেষ সময়ে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তারা বহু আগেই ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক টিমের কাছে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থা তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে ঢাকায় প্রতিবেদন দিয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। তারা মহানগরের বর্তমান কমিটির পদে থাকলেও বিভিন্ন সময় নিস্ক্রিয় ছিলেন। এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের জননন্দিত মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে তিনিই হবেন পরবর্তী সভাপতি। মহানগর আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার জন্য তাকেই সভাপতি হিসেবে চাচ্ছেন অধিকাংশ নেকা-কর্মী ও সমর্থক। সূত্র মতে, সম্মেলনের ৫ দিন আগে গত ২৮ নভেম্বর মহানগরের ৪টি ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এভাবেই গত ৬ মাসে মহানগরের ২১টি ওয়ার্ডে কমিটি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছিলো। ১৭-০৯-২০১৮ তারিখে মহানগর আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের আরপিও এবং আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বাস্তবায়ন না করায় দীর্ঘদিন কমিটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো।

---

উপদেষ্টা সম্পাদক: ডি. মজুমদার

সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০ ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :