, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

ইবিতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার পানির প্ল্যান্ট অকেজো, বিশুদ্ধ পানির সংকট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

ইবিতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার পানির প্ল্যান্ট অকেজো, বিশুদ্ধ পানির সংকট

শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে (ইবি) সাড়ে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে দুই ভবনের নিচে দুটি বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। প্ল্যান্ট দুটি প্রায় এক বছর ধরে অকেজো হয়ে আছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। পানির প্ল্যান্ট দুটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পানির প্ল্যান্ট দুটির ট্যাবগুলো ভাঙা। নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ময়লা আবর্জনা ও মরীচা পড়ে লোহার যন্ত্রপাতিগুলো প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্ল্যান্ট দুটি ঠিক থাকাকালীন হলের ও ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মেসে থাকা শিক্ষার্থীরাও পানি পান করতেন এবং সংগ্রহ করে কক্ষে নিয়ে যেতেন। প্ল্যান্ট দুটি অকেজো হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

জানা যায়, ২০১৭ সালে ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের নিচে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। পরবর্তী বছর পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় আরও এক লক্ষাধিক টাকা। পরিচর্যা ও মেরামতের অভাবে বর্তমানে পানির প্ল্যান্ট দুটি ব্যবহার অনুপযোগী। এক বছর ধরে প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ থাকায় সম্পূর্ণ বিকল হয়ে আছে।  এ কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থী রাজু মিয়া বলেন, হলে টিউবওয়েলের পানি খেতে হয়। তাও প্রতি ব্লকে এই পানির ব্যবস্থা নেই। বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট দুটি থাকলে কষ্ট হলেও ওখান থেকে পানি নিয়ে আসতাম। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানাই। 

মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফেরদাউস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট সংলগ্ন একটি মেসে অবস্থান করি। মেস থেকে দূরে হলেও প্রতিদিন ওখান থেকে পানি নিয়ে আসি। এটি নষ্ট হওয়ায় বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন তারেক বলেন, প্ল্যান্ট দুটির বারোটা বেজে গেছে। এক বছর ধরে ফাইল দিচ্ছি কিন্তু ফাইল হারিয়ে যাচ্ছে। আবার অনুমোদনও দিচ্ছে না। দেখি আগামী সপ্তাহে আবার নতুন করে ফাইল দেব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো ফাইল আসেনি। কাল অফিস টাইমে খোঁজ নেব।

  • সর্বশেষ - শিক্ষাঙ্গন