রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কোকোর মৃত্যু হয়েছে: ফখরুল
প্রকাশ :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট সন্তান। তার বড় ভাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। কোকো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন ক্রীড়াবিদ। কিন্তু, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা ওয়ান-ইলেভেনের পরে আরাফাত রহমান কোকোকে মিথ্যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। আরাফাত রহমান কোকো অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সবচেয়ে আদরের ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। দেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে করুণ অবস্থায় তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। জিয়া পরিবার সব সময় এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। আমরা আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ আজ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে আছেন। এ চলমান আন্দোলনে আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন। তারপরও মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা সফল হবো, জয়ী হবো এবং এ অনির্বাচিত সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর নেতা নবী উল্লাহ নবী, আব্দুল আলিম নকি, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।