, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে কাপড়ের মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

রংপুরে কাপড়ের মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে

এবার রংপুর নগরীর কাপড়ের মার্কেট মতিপ্লাজায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটের পিছনের অংশে থাকা একটি  ফোমের গোডাউন ও একটি কাগজের কার্টনের গোডাউন পুড়ে গেছে। ঈদের আগে মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অর্ধশত ব্যবসায়ী। তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ, এমনটা জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।

ফায়ারসার্ভিস ও ব্যবসায়ীরা জানা গেছে, রংপুর নগরীর কাপড়ের মার্কেট মতিপ্লাজার পেছনের দিকে জেনারেটরের মাধ্যমে ফোমের গোডাউনে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় মতিপ্লাজা। এ সময় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের কাপড়, জুতা-সেন্ডেল নিয়ে রাস্তায় দৌড়ে আসে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যেতে থাকলে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটি কাজ শুরু করে। এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি দোকানে বসে আছি। হঠাৎ দেখতে পেলাম ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা রান্নার ধোঁয়া। কিন্তু পড়ে যখন কালো ধোঁয়া বের হওয়া শুরু করল তখন বুঝতে পারি মার্কেটে আগুন লেগেছে। পড়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়া হলে তারা এসে আগুন নেভায়।’ মতিপ্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী সামি বলেন, ‘ঈদের আগে আমাদের বেচাকেনা ভালই চলছিল। ঈদকে ঘিরে আজই সবচেয়ে বেশি গ্রাহক মার্কেটে এসেছে। হঠাৎ করে একটি ছেলে এসে বললো জেনারেটর থেকে আগুন লেগেছে। আমরা আগুন লাগার কথা শুনে তাৎক্ষণিক বাহিরে থাকা কাপড়-চোপড় নিয়ে বাহিরে ছুটে আসি। পরে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে তারা আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে। আগুন যে জায়গায় লেগেছে ফায়ার সার্ভিস সেই জায়গা শনাক্ত করতে পেরেছে বলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছি।’

মতিপ্লাজা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহীন চৌধুরীর দাবি, ‘পুরো মার্কেটে কয়েকটি গোডাউন ঘরসহ ৩২টি দোকান রয়েছে। আগুনে পুরো ও আংশিক মিলে আটটি দোকানের ক্ষতি হয়েছে।’ এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’ তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। 

রংপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের ৮টি ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়  একটি ফোম ও একটি কার্টনের গোডাউন পুড়ে গেছে। আমরা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগান কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি করবো। সেই কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এনিয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।’

  • সর্বশেষ - সারাদেশ