হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ :

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর কৃষক তোতা মিয়া হত্যা মামলায় ৫ আসামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে দুই যাবজ্জীবন ও ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ম) মো. আজিজুল হক এ রায় প্রদান করেন। এ মামলার বাকি ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হল, মৃত আলফু মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়া ও বশির আহমেদ ভিংরাজ, মৃত চেরাগ আলীর ছেলে জিতু মিয়া, মৃত ফজল হোসেনের ছেলে শাহ আলম এবং মৃতু ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত আলফু মিয়ার ছেলে ইউনুছ মিয়া ও মৃত আঃ ছোবহানের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের দীঘলবাক গ্রামে আসামীগণ প্রকাশ্যে কৃষক তোতা মিয়াকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিনে তার ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ৩৩ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ। এরপর ২৯ জন স্বাক্ষী এ মামলায় স্বাক্ষ্য দেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার বিকেলে ওই রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণ করলে জনসাধারণ গ্রামের মুরুব্বি তোতা মিয়ার কাছে সালিসের জন্য শরণাপন্ন হন। এতে শাহ আলম নামে একজনের প্ররোচনায় আসামীরা তোতা মিয়া ও অন্যান্যদের ওপর হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে তোতা মিয়াকে গুরুতর আহত করা হয়।
এসময় আরো বেশ ককেয়কজনকে আহত করা হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় তোতা মিয়াকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহতদের সিলেট এএমজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. নুরুজ্জামান এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিহত কৃষক তোতা মিয়ার পরিবার এতে সন্তোষ্ট।