7 October 2024, 01:44:59 PM, অনলাইন সংস্করণ

ময়মনসিংহ নগরীতে ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম

  শাহ মোহাম্মদ রনি

  প্রকাশ : 

ময়মনসিংহ নগরীতে ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম
16px
জলাবদ্ধতা নিরসনের পর ময়মনসিংহ নগরীতে প্রাণঘাতী ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। এডিস মশার প্রজনন ও বিস্তার রোধে পর্যায়ক্রমে নগরীর ৩টি জোনের ৩৩টি ওয়ার্ডে চলছে এ কার্যক্রম। নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু’র কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে চৌকস কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ক্র্যাশ প্রোগ্রামে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আক্রান্তের পরিমাণ শুন্যের কোটায় থাকার কথা জনিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা সঠিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরব্যাপী আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে এবারও হুমকির হাত থেকে রক্ষা পাবেন নগরবাসী। অন্যদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নগরবাসী। নগরবাসীকে সচেতন করতে বিতরণ করা হচ্ছে প্রচারপত্র। দিনব্যাপী মাইকিং করা হচ্ছে ওয়ার্ডগুলোয়। নাগরিকদের মতে, এটি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আরেকটি বিশেষ অবদান। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, যেকোনো মূল্যে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে। দূর্যোগ মোকাবিলা করে নাগরিকদের নিরাপদ রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

সূত্র জানায়, মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু নাগরিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। এডিস মশার প্রজনন ও বিস্তার রোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের মনিটরিংয়ের পাশাপাশি মেয়র নিজেও প্রতিদিনের কার্যক্রম মনিটরিং করেন। সূত্র মতে, অর্ধশত দক্ষ মশক নিধনকর্মী পর্যায়ক্রমে ৩৩টি ওয়ার্ডের দেড় শতাধিক হটস্পটে ফগার মেশিন দিয়ে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড ছিটাচ্ছেন। মশক নিধন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার শুক্রবার দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে জানান, মেয়র মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনায় ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরীতে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে। নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তারা মশক নিধন কার্যক্রম তদারকি করছেন। তিনি বলেন, যেকোনো স্থানে ৩ দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে এডিস মশার বিস্তার বাড়ে। ডেঙ্গু বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এডিস মশার লার্ভা জমিয়ে রাখার বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর পরও নির্মাণাধীন কোনো ভবন অথবা প্রতিষ্ঠানের জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্পর্কে মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, যেকোনো দূর্যোগে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। বর্তমান সময়ে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আমাদের আশে-পাশে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। তিনি বলেন, এডিস মশার কামড়ে কখনও ময়মনসিংহ নগরীতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। মশক নিধন কার্যক্রম এবং সকলের সচেতনতায় এবারও আমরা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত থাকবো। প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নাগরিকদের জন্য কাজ করে ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ এবং সচেতনতার জন্য অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন জননন্দিত এই মেয়র। জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিকে মহানুভবতার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিয়েছেন ময়মনসিংহবাসী। এটি মেয়র টিটু’র প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। শেষে তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হন। বিশ্লেষকদের মতে, মেয়র টিটু গত ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে নগরীর লাখ লাখ মানুষকে আন্দোলিত করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।



  • সর্বশেষ - মহানগর