বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়া : যুবলীগ চেয়ারম্যান
প্রকাশ :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড (মূল পরিকল্পনাকারী) ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এমন মন্তব্য করে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ তার মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন এবং বিচারের দাবি করেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আসলে ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও তাদের আন্তর্জাতিক দোসরদেরই ছিল।
এটি ছিল সুদূরপ্রসারী ও সুপরিকল্পিত একটি গণহত্যা। এর মূল লক্ষ্য ছিল এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুকে চিরতরে বিলীন করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। কারণ, আমরা দেখেছি, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরপরই পাকিস্তানি ভাবধারায় এ দেশ পরিচালিত হতে থাকে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল, তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা করতে চেয়েছিল এ দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা। আমরা যদি কিছু ট্রেন্ড ও প্যাটার্ন দেখি, তাহলে আমরা বুঝতে পারব, কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে জড়িত ছিল এবং কীভাবে জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে ১৯৭১ এ নির্বিচারে নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেই আদলে ৭৫ এ ঘরে ঢুকে নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে এদেশের মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে ফেলার নীল নকশা বাস্তবায়ন করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।
সবাইকে সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা এই খুনিদের প্রশ্রয় দেবেন না। আজ এই খুনিরা রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়। যে মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে, যার বিরুদ্ধে রায় আছে, সে বক্তব্য দেয়, সেই বক্তব্য প্রচারিত হয়। তাতে দেশের সাধারণ জনগণ বিভ্রান্ত হয়।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা স্মারকলিপি পেশ করতে নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হন।