, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ অনলাইন সংস্করণ

ডেঙ্গু কেড়ে নিল প্রাণ, দেখা হলো না সন্তানের মুখ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

ডেঙ্গু কেড়ে নিল প্রাণ, দেখা হলো না সন্তানের মুখ

আর মাত্র দেড় দুই মাস পরেই দুনিয়ায় আগমন করবে সন্তানের, সেই প্রতিক্ষায় ছিলেন শাহ আলম (২৫)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই ডেঙ্গু জ্বরের ভয়ানক থাবায় অকালে পরপারে পাড়ি জমাতে হলো তাকে।

পড়ালেখার ইতি টেনে জীবিকার তাগিদে কয়েক বছর আগে ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানির চাকরি করেছিলেন শাহ আলম। বছর খানেক আগে করেন বিয়ে। তার স্ত্রী বর্তমানে ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা।

শাহ আলম ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের কাউলীকান্দা গ্রামের ব্যবসায়ী সিরাজ মাতুব্বরের ছেলে। আজ সোমবার ভোর রাতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে শাহ আলম ছিল ছোট। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

শাহ আলমের স্ত্রীর বড় ভাই এনায়েত খান জানান, শাহ আলমের সঙ্গে এক বছর আগে আমার বোনের বিয়ে দেই। বর্তমানে আমার বোন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাহ আলম অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ ছিল। চাকরি করতো ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে।

গত ১৫ আগস্ট উপলক্ষে ছুটিতে বাড়িতে আসে সে। সেখান থেকে গত বুধবার গর্ভবতী স্ত্রীকে দেখতে আমাদের রাজবাড়ীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথমে জ্বরের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এতে কোন উন্নতি না হওয়ায় গত শুক্রবার তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার পর তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী হাসপাতালে শাহ আলমের অবস্থার অবনতি হলে রবিবার রাতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শাহ আলম নামে কেউ মারা গেছে কি না, সে তথ্য এখনো পাইনি। তবে বর্তমানে হাসপাতালে ১০৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

  • সর্বশেষ - মিডিয়া