২৩ এপ্রিল ২০২০, ০৭:২৬ মিঃ
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঋণগ্রহীতাদের বিশেষ ছাড় দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। অর্থাৎ খেলাপি হবে না। পাশাপাশি রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তি জুন পর্যন্ত না কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এ-সংক্রান্ত দুটি নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকদের কাছে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের কারণে চলমান বিরূপ প্রভাবের ফলে অনেক ঋণগ্রহীতা সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ গত ১৯ মার্চ এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে। এ প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চলতি মূলধন ঋণ নবায়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে যে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঋণের পরিমাণ যা ছিল আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদোউত্তীর্ণ হলেও ঋণের শ্রেণিমান তদাপেক্ষা বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
সিসি ও চলতি মূলধন ঋণ হিসেবে ১ জানুয়ারির শ্রেণিমান অনুযায়ী স্বাভাবিক লেনদেন অব্যাহত থাকবে। এসব নির্দেশনা শুধুমাত্র সিসি ও চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে রূপালী ব্যাংক।
এছাড়া অপর এক নির্দেশনায় ব্যক্তিগত ও পেশাগত ঋণ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহনির্মাণের জন্য দেয়া ঋণ এপ্রিল ও মে জুন মাসের কিস্তি কর্তন না করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া স্থগিত করা এসব ঋণের কিস্তি ঋণ হিসাবের মেয়াদপূর্তির পরবর্তী তিন মাসে তিনটি অতিরিক্ত কিস্তির মাধ্যমে আদায় করা হবে বলে জানিয়েছে রূপালী ব্যাংক।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :