রাষ্ট্রপতির কাছে ইতালির রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
প্রকাশ :
রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের কাছে আজ বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্টোনিও আলেসান্দ্রো। এ সময় নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। গতবছর দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২৩ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ফুড সিস্টেম সামিটে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ ও ২০২০ সালে ইতালিতে রাষ্ট্রীয় সফর দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচণা করেছে। সম্প্রতি জ্বালানি ও সংস্কৃতি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দুদেশের সম্পর্কে আরো গতিশীলতা এসেছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা, অভিবাসন,নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা এসব ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ইতালি বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং গতবছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে সেদেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইতালির সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে ইতালির চাপ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ইতালির লিগাল মাইগ্রেশন স্কিমের আওতায় বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে ইতালি সরকারের আগ্রহকে স্বাগত জানান এবং দেশটিকে বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে খুবই গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনশক্তি ইতালির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে বলেন, ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা খুবই সুশৃঙ্খল এবং তাদের মাঝে অপরাধ খুবই কম।
তিনি বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় বলেন, ইতালি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে। রাষ্ট্রদূত এ সময় নতুন দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।