অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিল টাইগাররা
প্রকাশ :

বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩০৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার করতে হবে ৩০৭ রান। শনিবার পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে-শুনে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম-লিটন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা। দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তুলে বাংলাদেশ।
৩৬ রান করে তামিম ফেরায় ভাঙে ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন শন অ্যাবট। শরীর বরাবর আসা বাউন্সার লাফিয়ে উঠে ডিফেন্স করতে যান তামিম, ব্যাটের উপরের দিকে লেগে ফিরতি ক্যাচ যায় বোলারের কাছে। তাতে সম্ভাবনাময় ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সফট ডিসমিসালে।
তামিমের বিদায় রান রেটে কোনো প্রভাব ফেলেনি। কারণ উইকেটে এসেই শট খেলতে শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে দলের রানের গতিও বাড়ে। প্রথম ৫০ রান করতে লেগেছিল ৫০ বল, পরের ৫০ রান এসেছে ৪২ বলে, সবমিলিয়ে ৯২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো হলেও আরো একবার হঠাৎ ছন্দ পতন লিটনের। সবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি পথে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ১৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকে উড়িয়ে মারতে গেলেন। একজন সেট ব্যাটার হয়ে এভাবে তেড়ে-ফুড়ে খেলতে যাওয়াটা রীতিমতো আত্মহত্যার শামিল। সেটাই করলেন লিটন। লং অনে ল্যাবুশেনের হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৩৬ রান।
এরপর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের জুটিতে ভর করে বড় রানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু তার শেষটাও হয় হতাশায়। ২৮তম ওভারের পঞ্চম বল স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দৌড় শুরু করেন শান্ত ও হৃদয়। দুজন বেশ কিছুক্ষণ ধরেই রান নেওয়ার জন্য বেশ তাড়াহুড়ো করছিলেন।
ওই বলটিতে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে আউট হন শান্ত। স্কয়ার লেগ থেকে করা লাবুশেনের দারুণ থ্রোতে দ্রুত স্টাম্প ভাঙেন উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। ৬ চারে ৫৭ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় শান্তকে।
এরপর হৃদয়ের জুটির সঙ্গী হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের জুটিতে ৪৪ রান আসে। এবারও সেই রান আউটে শেষ হয় জুটি, লাবুশেন থাকেন এখানেও। হৃদয় বল কাভারে পাঠান, এরপর রানের জন্য দৌড় শুরু করেন দুজন। কিন্তু নন স্ট্রাইক থেকে দৌড়ে আসা রিয়াদ যতক্ষণে ঝাপিয়ে দাগ ছুন, ততক্ষণে আন্ডার আর্ম থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন লাবুশেন। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলে ৩২ রান করেন রিয়াদ। বিশ্বকাপের শেষ ইনিংসে রান আউট হয়ে হতাশা নিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি।
মুশফিকুর রহিমও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি খুব বেশি দূর। ২৪ বলে ১ ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। অনেক্ষণ ক্রিজে থাকা হৃদয়ও ইনিংস শেষ করতে পারেননি। শুরুতে বলের চেয়ে বেশি রান করা এই ব্যাটার পরে স্ট্রাইক রেটও একশর নিচে নিয়ে আসেন। বিশ্বকাপে তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস থামে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৯ বলে ৭৪ রান করে। স্টয়নিসের বলে লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর ব্যক্তিগত ২৯ রানে থামেন সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষদিকে আরেক রানআউটের শিকার হন নাসুম আহমেদ (৭)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা পান ২টি করে উইকেট। বাকি উইকেট স্টয়নিসের।