ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীমের ‘ট্রাক’ প্রতীকের জয় জয়কার
প্রকাশ :
ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল হক শামীমের ট্রাক প্রতীকের জয় জয়কার অবস্থা। সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন নির্লোভ ও হেভিওয়েট এই প্রার্থী। নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। এরই মধ্যে শামীমের ‘ট্রাক’ প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের একাংশের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বড় অংশ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজসহ বিশাল সমর্থক গোষ্ঠি। মাঠ কাঁপাচ্ছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ কাউন্সিলর। ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক অধিকাংশ চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। অপরদিকে বিভিন্ন কায়দায় নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ‘ট্রাক’ প্রতীকের বিপুল সংখ্যক সমর্থক। নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সকলের প্রিয় আমিনুল হক শামীম। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের দৃষ্টিতেও রয়েছে তার সুদৃঢ় অবস্থান। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আমিনুল হক শামীম জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি। ময়মনসিংহ মহানগর ও সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের গ্রাম থেকে গ্রামান্তর সবার কাছে তিনি নির্লোভ ও পরোপকারী হিসেবে পরিচিত। ব্যবসায়ী নেতা শামীম নানান কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ৩০ বারের অধিক বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। আমিনুল হক শামীম দেশের অন্যতম শিল্প ও পর্যটন উদ্যোক্তা।
রাজনীতিতে নিবেদিতপ্রাণ আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল হক শামীমকে ঘিরে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের একাংশসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে। সম্মানজনক ভোট ব্যবধানে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী শামীম বিজয়ী হবেন বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। অবহেলিত সদর উপজেলাবাসীর উন্নয়নে সর্বস্তরের ভোটাররা ‘ট্রাক’ প্রতীকের পক্ষে একজোট হয়েছেন। ভোটারদের মতে, কাঙ্খিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে সর্বস্তরের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন একমাত্র আমিনুল হক শামীম। যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোটাররা তাকেই বেছে নিয়েছেন। তারা জনগণের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীমের ট্রাক প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার অঙ্গিকার করেছেন। আমিনুল হক শামীম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সম্পৃক্ত থাকার শপথ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বলে দৈনিক জাগ্রত বাংলাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সদর উপজেলাবাসীর উন্নয়নে কেউ কথা রাখেনি। চরাঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এলাকাবাসী অনেক কষ্ট করে চলাফেরা করেন। তাদের দুঃখ-দুর্দশা নিরসনে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিবো। দ্রুত সময়ের মধ্যে সদরে অর্থনৈতিক জুন চালু করে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হাজার হাজার পরিবারের আয় বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবো। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সকলের অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আমার ‘ট্রাক’ প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ আমিনুল হক শামীমের ট্রাক প্রতীকের পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপনের নেতৃত্বে অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন। অন্যদিকে জেলা ও মহানগর যুবলীগ, জেলা ও মহানগর কৃষক লীগ, জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর যুব মহিলা লীগ, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর ছাত্রলীগ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগ, জেলা ও মহানগর মৎস্যজীবী লীগ, জেলা ও মহানগর তাঁতী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা জনপ্রিয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীমের ‘ট্রাক’ প্রতীকের পক্ষে নিরলস কাজ করছেন। এই আসনের নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। অনেকের মতে, শিল্প ও পর্যটন উদ্যোক্তা আমিনুল হক শামীম যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থী। তিনি বিজয়ী হয়ে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ময়মনসিংহ সদর আসন উপহার দিবেন। সিটি কর্পোরেশন ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসন। শামীম বিগত জাতীয় সংসদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন, সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভূমিকা রাখার কারণেও তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয়। মূলত এসব কারণেই দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা শামীমের পক্ষ নিয়েছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা জানান, গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার প্রশ্নে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল হক শামীম শক্তিশালী প্রার্থী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এ নেতা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সফল। আওয়ামী লীগ নেতা শামীম গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বহুল কাঙ্খিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ও সমর্থক নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। আগের দিন ১ সেপ্টেম্বর তারই দিকনির্দেশনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সমাবেশে যোগ দিয়েছিলো ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিটের ২ হাজারের বেশি ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থক। আমিনুল হক শামীম অবহেলিত সদর উপজেলাকে আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সদরবাসীর সেবা করতে চান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখতে চান। শামীম নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন। আলোচনা-পর্যালোচনা ও নির্বাচনী জল্পনা-কল্পনায় তাকে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়ে চলছে সরগরম প্রচারণা। তার ব্যক্তি ইমেজ নিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা দানা বেঁধে উঠেছে। দলমতের উর্ধ্বে সাধারণ মানুষের কাছে শামীমের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। সততা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বশীলতা ছাড়াও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি প্রতিশ্রুতিশীল। নির্লোভ ও পরোপকারী আমিনুল হক শামীমের বিজয়ে সর্বস্তরের মানুষ একাট্টা।