প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে করোনা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকায় মসিকের মানবিক মেয়র টিটু
প্রকাশ :
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করে করোনা যুদ্ধের পরীক্ষিত অগ্রনায়ক ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। অদৃশ্য ঘাতক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা এবং অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ করে রেকর্ড সৃষ্টি করায় নগরবাসী তাকে অগ্রনায়ক বলছেন। জীবন বাজি রেখে এরই মধ্যে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বলে মনে করেন ময়মনসিংহবাসী। নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়েছেন জীবাণুনাশক টানেল। অন্যদিকে কয়েক দিনের মধ্যেই ৩৩টি ওয়ার্ডে চালু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ খাদ্য কর্মসূচি। ৬৮ হাজার পরিবার করোনা সঙ্কট পরবর্তী সময় পর্যন্ত এই সহযোগিতা পাবেন। ৫০ হাজার পরিবার মানবিক সহায়তা ও ১৮ হাজার পরিবার বিশেষ ওএমএস কার্ড পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অসহায়দের তালিকা তৈরী করতে দীর্ঘ ৫ দিন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন মেয়র, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং পুরুষ ও নারী কাউন্সিলররা। এদিকে ১০-০৫-২০২০ রবিবার পর্যন্ত নগরীতে সরকারি ৭৭ হাজার, মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিলের ৪৫ হাজার এবং সংগ্রহ করা সাড়ে ৫ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ-এর দেড় হাজার এবং চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সিআইপি আমিনুল হক শামীমের ৪ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য রয়েছে। লকডাউন দীর্ঘ হওয়ায় বহু পরিবার একাধিকবার খাদ্যপণ্য পেয়েছেন। মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরুষ ও নারী কাউন্সিলররা তালিকা তৈরী করে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণের চাল ও আলু বিতরণ করেন। অপরদিকে মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবি লীগ, তাঁতী লীগ, শ্রমজীবি সংগঠন, পেশাজীবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা ওয়ার্ডভিত্তিক অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণে সহযোগিতা করেন। লোক লজ্জায় থাকা হাজার হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যেও রাতের বেলা খাদ্যপণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছেন মেয়র টিটু। অন্তত: ২৫ হাজার অতিদরিদ্র পরিবার কয়েক দফায় খাদ্যপণ্য পেয়েছেন। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ ও মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্যপণ্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। অসহায় কৃষকদের ধান কাটায় কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করেন মেয়র টিটু। মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন পদক্ষেপ অন্যান্য এলাকার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিশেষ সুরক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। স্বেচ্ছাসেবক প্রকৌশলীদের দিয়ে বানাচ্ছেন ‘স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল’। একাধিকবার সফল পরীক্ষার পর নমুনা পাঠানো হয় জাতীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারে। এরই মধ্যে নগরীর মেছুয়া বাজারের স্টেশন রোড সংযোগ সড়ক ও ছোট বাজার সংযোগ সড়ক, কাচারীঘাট অস্থায়ী কাঁচা বাজার এবং সিটি কর্পোরেশন ভবনে বসানো হয়েছে ৪টি টানেল। পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, এস কে হাসপাতালে, অন্যান্য বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল’ বসানো হবে বলে মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে জানান। টানেল বানাতে অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আলফা সাইন্স ল্যাবের একদল প্রকৌশলী। মসিকের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়কারী এম এ ওয়ারেছ বাবু টিম সমন্বয় করছেন। বিদ্যুৎ চালিত এই টানেল চলছে সেন্সর দিয়ে। উন্মুক্ত স্থানে বসানো টানেল দিয়ে কেউ চলাচল করলে স্বংয়ক্রিয়ভাবে তার শরীরে কুয়াশার মতো জীবাণুনাশক স্প্রে হচ্ছে। অনেকাংশে ধ্বংস হচ্ছে শরীর ও কাপড়ে লেগে থাকা জীবাণু। এতে নগরবাসী, চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল স্টাফ, রোগী ও তাদের লোকজন করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন। এই স্প্রে শরীর ও কাপড়ের কোনো ক্ষতি করছে না বলে সূত্র জানিয়েছে। মসিকের উদ্ভাবিত ‘স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল’ সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে বলেন, মেয়র টিটু নাগরিকদের জন্য একের পর এক বিশেষ ভূমিকা নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এই টানেল অদৃশ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। আমাদের জন্য খুবই ভালো সংবাদ।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ এবং জনসচেতনতার জন্য অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছেন মেয়র টিটু। অনুরোধ জানাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া বাসার বাইরে বের না হওয়ার জন্য। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নাগরিকদের জন্য কাজ করায় ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন। দাগ কেটেছেন কোটি মানুষের হৃদয়ে। অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ও নেতারা যখন লকডাউনের নামে বাড়িতে তখন আক্রান্তের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মেয়র টিটু। এ কারণে তাকে দেশের অন্যতম ‘শীর্ষ জনপ্রতিনিধি’ উপাধি দিয়েছেন ময়মনসিংহবাসী। নগরবাসী অকপটে স্বীকার করেন তার মহানুভবতার কথা। নানান কারণে আগে থেকেই মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টিটু নগরবাসীর খুবই প্রিয়। সুনাম অর্জন করেছেন মেছুয়া বাজার থেকে কাচারীঘাটে কাঁচা বাজার স্থানান্তর করে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হয়। কাঁচা বাজার স্থানান্তরের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ময়মনসিংহ নগরী থেকে। বিষয়টি অনুকরণীয় হয়েছে জেলার অন্যান্য উপজেলায়। নগরীর বস্তি ও ঘনবসতি এলাকায় কাজ করছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প। জনসচেতনতার জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয় ৩৩টি ওয়ার্ডে। ১৯ হাজার ৬১১ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৫টি করে সাবান। বৃহস্পতিবারের মধ্যে অতিদরিদ্র ৪ হাজার ৭৫৫ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে ১ হাজার ৫০০ করে টাকা। ৯৪টি সিডিসির হাত ধোয়ার পয়েন্টে বিতরণ করা হচ্ছে সাবান।
সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার, নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার বিতরণ এবং বিভিন্ন এলাকায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন মেয়র টিটু। মসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন রবিবার পর্যন্ত হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৭৭ হাজার ব্যাগ ত্রাণের চাল ও আলু বিতরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে কয়েক দফায় পাওয়া ৩৮৭ টন চাল ও ৭৭ টন আলু উপহার হিসেবে হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। অপরদিকে মেয়র টিটু ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪৫ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য বিতরণ করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ফুলপুর-তারাকান্দা আসনের এমপি শরীফ আহমেদ-এর কাছ থেকে পাওয়া ১ হাজার ৫০০ ব্যাগ খাদ্যপণ্য অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী মেয়র টিটুকে সাথে নিয়ে টাউন হলে খাদ্যপণ্যের ব্যাগগুলো বিতরণ করেন। এছাড়া চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সিআইপি আমিনুল হক শামীমের কাছ থেকে পাওয়া ৪ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। অভিন্ন বক্তব্যে নাগরিক নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে মেয়র টিটু সময় মতো অসহায় নাগরিকদের পাশে না দাঁড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হতো। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগের খাদ্যপণ্য বিতরণ করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতারা আরও বলেন, টিটু মহানুভব মানুষ। নগরীর লাখো পরিবারের হাহাকার মিটিয়ে তিনি করোনা যুদ্ধের অগ্রনায়ক এবং দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রতিনিধির উপাধি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
জানা যায়, দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়রদের মধ্যে যেক’জন আলোচিত তাদের একজন মোঃ ইকরামুল হক টিটু। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প, ক্লিন ইমেজ, বিচক্ষণতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে তিনি সকলের নজর কেড়েছেন। মানুষ যখন প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অজানা আশঙ্কায় তখনও সড়কে অবস্থান করছেন মেয়র টিটু। নিজে উপস্থিত থেকে জীবাণুনাশক ও ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছিটানোর নির্দেশনা দিচ্ছেন। পরিচ্ছন্ন রাখাচ্ছেন প্রধান সড়ক এবং ওয়ার্ডগুলোর সড়কসহ অলিগলি। জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টিকে মহানুভবতার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিয়েছেন ময়মনসিংহবাসী। মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব এবং বিভিন্ন এজেন্সির সাথে সমন্বয় করছেন করোনা পরিস্থিতিতে করণীয়। মেয়র টিটু সম্পর্কে নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম রবিবার দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে বলেন, নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে টিটু নগরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সকলের প্রিয় এই মানুষ জীবন বাজি রেখে নাগরিক সুরক্ষার জন্য কাজ করছেন। এ যুগে তার মতো জনপ্রতিনিধি পাওয়া দৃষ্টান্ত। নিঃসন্দেহে তিনি মহানুভব। তিনি বলেন, মেয়র টিটু কোটি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন। গত ১১ বছর নগরীতে বাস্তবায়ন করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেড়শ বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। নগরীর ইতিহাস সমৃদ্ধ সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পগুলো প্রশংসার দাবি রাখছে।
খাদ্যপণ্য বিতরণের বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান দুলাল রবিবার দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং মেয়রের দূরদর্শী পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ওয়ার্ডে খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। অতিদরিদ্র বহু পরিবারের মধ্যে একাধিকবার খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভালোই আছেন আমার এলাকার জনগণ। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, আমার ওয়ার্ডে দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের সংখ্যা বেশি। বিষয়টি বিবেচনায় এনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয়েছে। কাউকে নিরাশ করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে মেয়রের ভূমিকা মনে রাখার মতো। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ছাড়াও মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগরীতে ৪৫ হাজার ব্যাগ খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। আমি নিজেও অসহায় পরিবারের কাছে মেয়রের খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছি। খাদ্যপণ্য পাওয়ার বিষয়ে বাঘমারা এলাকার স্বামী পরিত্যক্ত রেজিয়া বেগম বলেন, এ পর্যন্ত ২ বার প্রধানমন্ত্রী এবং মেয়রের খাদ্যপণ্য উপহার পেয়েছি। প্রথম বার এলাকার কাউন্সিলর এবং দ্বিতীয় বার মেয়রের পক্ষ থেকে খাদ্যপণ্যের ব্যাগ দিয়ে গেছে। মানবিক সহায়তা কার্ডের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছি। বলাশপুর এলাকার চা দোকানদার শাহীনুল ইসলাম জানান, তিনিও পরপর ২ বার খাদ্যপণ্য পেয়েছেন। একই কথা জানালেন জেসিগুহ রোড বাইলেনের পারভীন বেগম, জুবিলী ঘাটের রিপন দাস, স্বদেশী বাজারের শাহজাহান আনসার, আমলাপাড়ার মোঃ রাশিদ, পন্ডিতপাড়ার আবুল হোসেন, কলেজ রোড মীর বাড়ির শফিকুল ইসলাম ও রোকসানা পারভীন, তালতলা ঢোলাদিয়ার আতাহার মন্ডল ও শেফালী বেগম, সানকিপাড়া শেষ মোড়ের রফিকুল ইসলাম ও সুরাইয়া আক্তার, নওমহলের সুমি আক্তার, চরপাড়ার মোসলেমা খাতুন ও হাবিবুর রহমান ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত ব্যক্তি। তারা সবাই প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ এবং মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিলের খাদ্যপণ্য পেয়ে খুবই খুশি।
সম্পাদনায়: নাসিমুল গনি ইশরাক