সীমান্তে ফেলানীর মতো আর কাউকে ঝুলতে দেখতে চাই না: সারজিস
প্রকাশ :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হবে ছাত্র-জনতার মতামতের ওপর ভিত্তি করে। আমরা স্বামী-স্ত্রীর পররাষ্ট্রনীতি চাই না। এ দেশের সীমান্তে ফেলানীর মতো আর কাউকে ঝুলে থাকতে দেখতে চাই না। আজকে পর থেকে এমন ঘটনা ঘটলে তার উপযুক্ত বিচার করা হবে।’
শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘নৈশ প্রহরী, সুইপার ও দারোয়ান নিয়োগ দেওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা যে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছে, তা নিজের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। কারণ, যারা অনিয়ম করছে, চাঁদাবাজি করছে তারা কোনো না কোনো পরিবারের সদস্য। তাই নিজের ভেতরের ফ্যাসিজমকে আগে বের করতে হবে। যদি নিজেদের ঘর থেকে নোংরা অনিয়মগুলোকে ত্যাগ করতে পারি, তাহলেই স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরি করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে আমরা সবাই রাজপথে নেমেছি। সামনের বাংলাদেশে মেধাবীদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। আগামীতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, জজ ও ব্যারিস্টার হওয়ার পাশাপাশি দেশের সৎ, মেধাবী ন্যায়পরায়ণ রাজনীতিবীদ হয়ে উঠতে হবে। এ দেশের পলিসি মেকিং, আইন-শৃঙ্খলা সব কিছুই সংসদ থেকে নির্ধারণ হয়। সেই সংসদে মেধাবী ও যোগ্যরা যেতে না পারলে অযোগ্যরা ওই চেয়ারে বসবে।’ তিনি আরো বলেন, সব দপ্তরেই দালাল দিয়ে ভরে গেছে। থানা, হাসপাতালসহ সব জায়গায় টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। আগামী দিনে বাংলাদেশে এসব দালালি আর ঘুষ দেওয়া-নেওয়া চলবে না।
এসময় আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রতিনিধিদলের নেতৃবৃন্দ। দুপুরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএডিও সভাকক্ষে বিভিন্ন দলের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। এসময় ঢাবির সমন্বয়ক সজিব ভূইয়া, জহির রায়হান, আবু সাঈদ স্বপন সহ স্থানীয় ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।