রাতে বসুন্ধরা কিংসের চ্যালেঞ্জ লিগ মিশন শুরু
প্রকাশ :
এএফসি’র নতুন সংযোজন চ্যালেঞ্জ লিগে আজ অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কিংসের প্রতিপক্ষ লেবানন সেরা নেজমাহ এফসি। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ভুটানের চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। ‘এ’ গ্রুপে কিংস, নেজমাহ ছাড়াও আছে ভারত জায়ান্ট ইস্ট বেঙ্গল ও স্বাগতিক পারো এফসি।
নতুন কোচ ভ্যালেরিউ তিতার অধীনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সাফল্যের খোঁজে রয়েছে কিংস। দেশসেরা ফুটবল ক্লাবটির স্বপ্ন এখন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে সফল হওয়া। শক্তিশালী নিজমাহতে লেবানন জাতীয় দলের ছয় ফুটবলার খেলছেন। পিছিয়ে নেই কিংসও। দলটিতে রয়েছে একাধিক জাতীয় ফুটবলার এবং বেশ কয়েকজন ভালোমানের বিদেশি খেলোয়াড়।
গ্রুপের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজমাহ ও ইস্ট বেঙ্গলকে সমীহ করলেও কিংসের নতুন ‘হেড মাস্টার’ তিতা খুব ভালো করেই জানেন দলগুলোর শক্তিমত্তার ভীত কোথায়। আবার তাদের দুর্বলতাও জানেন। দু’টি দলকেই হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তিতার। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজ কিংসের ডাগআউটে দাঁড়াবেন রুমানিয়ান কোচ।
আজ লড়াইটা সহজ হবে না। একে তো থিম্পুর বৈরী আবহাওয়ায় খেলা। তাছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতাও একটা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য। প্রতিপক্ষ নেজমাহকে দীর্ঘ সময় কোচিং করানো তিতা বলেন, ‘নেজমাহ লেবাননের এক নম্বর ক্লাব। আমি যখন কোচ ছিলাম, সে সময়ের ৬ জন ফুটবলার আছে এবারের দলে। এখন যে দলের কোচ সে আমার পছন্দের ফুটবলার ছিল। কিন্তু এটাই তো ফুটবল। আমার মনে হয়, এবার আমিই শেষ হাসি হাসবো। ’
কিংসের অধিনায়ক তপু বর্মনও আশাবাদি এবারের আসর নিয়ে। গতকাল তিনি বলেন, ‘আগের আসরগুলোতে আমরা পারিনি। তবে নতুন কোচের অধীনে নতুন উদ্যমে আমরা শুরু করেছি। আশা করছি ভালো কিছু নিয়েই ফিরতে পারবো আমরা। ’কিংসের পরের ম্যাচে ২৯ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ ইস্ট বেঙ্গল ও ১ নভেম্বর শেষ গ্রুপ ম্যাচ পারো এফসির বিপক্ষে। ওয়েস্ট জোনে ১২ দল তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নিচ্ছে এই আসরে। তিন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও তিন গ্রুপের মধ্যে সেরা রানার্স-আপ দলটি খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তখন তাদের খেলতে হবে ইস্ট জোনের দুই গ্রুপ থেকে আসা চার দলের সঙ্গে।
আগের মৌসুমগুলোর চেয়ে কিংসে এবার পরিবর্তন অনেক। দলের অন্য সেরা খেলোয়াড় রবসন রোবিনহোও দল ছেড়েছেন। তবে মিগেল ফিগেইরা, জোনাথন ফার্নান্দেজ, নতুন নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ইসাইয়া এজেহসহ অন্য বিদেশিরা আছেন। রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিনরা নিজেদের মেলে ধরার অপেক্ষায়।