12 December 2024, 11:42:15 PM, অনলাইন সংস্করণ

১৫৯ রানে অলআউট, ফলোঅনে বাংলাদেশ

  স্পোর্টস ডেস্ক

  প্রকাশ : 

১৫৯ রানে অলআউট, ফলোঅনে বাংলাদেশ
16px

চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ১৫৯ রানে হারিয়ে ফেলে সবগুলো উইকেট। আরও ৪১৬ রানে পিছিয়ে থাকা স্বাগতিকদের ফলো অন করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

তৃতীয় দিনের শুরুটা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে করেন মুমিনুল হক। এ দু'জনের ওপরই নির্ভর করছিল বাংলাদেশের শুরুর সময়টা। অধিনায়ক শান্ত অবশ্য তৃতীয় দিনে সাজঘরে ফিরতে সময় নিয়েছেন স্রেফ চার ওভার।  

কাগিসো রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন শান্ত। ১৭ বলে তিনি করেন ৯ রান। টানা অফ ফর্মের সঙ্গে অধিনায়কত্ব ছাড়া ইস্যুতে বেশ চাপেই আছেন শান্ত, সেটি হয়তো আরও বাড়বে এই ইনিংস বা ম্যাচের পর।  

পরের ওভার করতে আসেন ড্যান পিটারসন। তার তৃতীয় বলে মুখোমুখি হয়ে আউট হয়ে যান মুশফিক। স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো টনি ডি জর্জির হাতে তিনি ক্যাচ দেন দুই বল খেলে কোনো রান করার আগেই। রাবাদা নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন দুই উইকেট।  

শুরুটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে। আরও এক ব্যাটার রাবাদার বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩ বলে ১ রান করেন মিরাজ। কিপিংয়ে ভালো সময় কাটাতে না পারা অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এরপর এলবিডব্লিউ হন রাবাদার বলে।  

৪৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন সংগ্রহে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায় ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ২২ বছর পর তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি হতে দেননি তাইজুল ও মুমিনুল। গড়েন শতরানের জুটি। তবে মুমিনুলের বিদায়ে ভেঙে যায় সেটি।  

মুতুসামির হাওয়ায় ভাসানো বল ব্যাকফুটে খেলতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ততক্ষণে বল গিয়ে লাগে প্যাডে। এতে এলবিডব্লিউ হয়ে ৮২ রানে ফিরতে হয় মুমিনুলকে। ১১২ বলে তার ইনিংসটা সাজানো ছিল ৮ চার ও ২ ছক্কায়। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন তাইজুলও। কেশভ মহারাজের বল তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ৯৫ বলে ৩০ রানের ইনিংসের ইতি ঘটান বাংলাদেশি ব্যাটার।

  • সর্বশেষ - খেলাধুলা