০৪ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৯ মিঃ
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি ধীর ধীরে কমতে শুরু করলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যায় মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। নতুন করে আরও দুই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় জেলার আট পৌরসভা ও ৪৯টি ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যা দুর্গতরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে শনিবার (৪ জুলাই) সকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি কমতে থাকলেও জেলার পৌরসভাগুলোসহ ৪৯টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর বিত্তীর্ণ ফসলের মাঠ, ৪৫০টি গ্রামের কয়েক হাজার বসতবাড়ি। যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় পরিবার ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে রান্না ঘর, শৌচাগার, গোয়াল ঘরসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ভিজে গেছে ঘরের শুকনো ধান। বানভাসিদের এই মুহূর্তে শুকনো খাবারের বেশি প্রয়োজন।
জেলায় প্রায় ১০ লাখ গবাদিপশু পালন করা হয়। তার মধ্যে প্রায় চার লাখ পশু এখন পানিবন্দি। নেই কোনো খাবার, সরকারি পর্যায়ে নেই কোনো গো-খাদ্য সহায়তা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মোটতাজা করা গরুগুলো খাদ্যের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভালো দামের আশা ছেড়ে দিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন কৃষকরা।
পানিবন্দি মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে ধীর গতিতে। চাহিদার তুলানায় ত্রাণ খুবই অপ্রতুল। সরকারি তথ্য মতে, জামালপুরে বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ৭৪৭টি পরিবারের তিন লাখ ৭৪ হাজার মানুষ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় নতুন করে ৪৩৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরও ত্রাণ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :