০৯ সেপ্টেম্বার ২০২০, ১৯:৩৭ মিঃ
এ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে আমাদের সতর্ক করা হয়েছে। আমরা যেন নিজ কামনা-বাসনার অনুসরণ না করি। এছাড়া যারা আল্লাহ ও রাসুলের অনুসরণ না করে অন্য কিছুর অনুসরণ করবে তারা আল্লাহর হেদায়াত থেকে বঞ্চিত থাকবে। আর এমনটি যদি কেউ করে তবে সে হবে জালেমদের অন্তর্ভূক্ত।
তাই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাইলেই পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর বাইরে গিয়ে নতুন কোনো কিছু গ্রহণ বা সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে পারি না। যদিও বিভিন্ন মত ও পথের মানুষ রয়েছে আর এটা থাকবে, আমাদের কাজ হলো প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা অন্যদের সামনে তুলে ধরা। যারা ইসলাম বিরোধী কাজে লিপ্ত তাদেরকেও আমরা ইসলামের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার মাধ্যমে ইসলামের পতাকা তলে আনার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ওপর অন্যায় আচরণ বা বাড়াবাড়ি করার শিক্ষা ধর্মে নেই।
আল্লাহপাক সবাইকে স্বাধীন করে সৃষ্টি করেছেন, ধর্ম নিয়ে জোর-জবরদস্তির কোনো শিক্ষা আল্লাহ এবং তার প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাউকে দেননি। আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্বাধীনভাবে সৃষ্টি করে ভাল মন্দ দু’টি পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। যে ভাল পথের অন্বেষণ করবে সে আল্লাহর পুরস্কার লাভ করবে আর যে মন্দ পথ অবলম্বন করবে সেও তার মন্দের প্রতিফল পাবে। আমরা যদি সব ধরণের মন্দ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি তাহলে আমাদের আবাসস্থল হবে জান্নাত।
- হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উপদেশ দিচ্ছিলেন, (তখন) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চোখ ছিল রক্তিম, কন্ঠস্বর ছিল উঁচু, আর তার উত্তেজনাও বেড়ে গিয়েছিল। এমন লাগছিল যে, কোনো সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণে অপেক্ষমান। এমন ভয়ই তিনি আমাদের দেখাচ্ছিলেন, তিনি বলেন- ঐ সেনাদল সকাল-সন্ধ্যায় যে কোনো মুহূর্তে আক্রমণে উদ্যত। তিনি আরও বলেন, আমার আগমন আর ঐ মুহূর্তকালকে এমন কাছাকাছি করা হয়েছে যে, এটা বলতে বলতেই তিনি শাহাদত অঙ্গুলী এবং সঙ্গের আরেকটি আঙ্গুলকে একত্রে মিলিয়ে দেখালেন। যেভাবে এই দু’টি আঙ্গুল একত্রে মিলে-মিশে আছে। আবার তিনি একথাও বলেন, এবারে আমি তোমাদেরকে বলছি যে, সর্বোত্তম ধর্মীয় উপদেশ বাণী আল্লাহর কিতাব আর সর্বোত্তম পথ হলো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথ। সর্বনিকৃষ্ট হলো ধর্মে নতুন রীতিনীতির প্রচলন করা আর সেইসব নতুন রীতিনীতি (মানুষকে) ভ্রান্ত পথের দিকে নিয়ে যায়।’ (মুসলিম)
- হজরত আমর বিন আওউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতের কোনো একটি সুন্নাত এমনভাবে জীবিত রাখল যে, লোকেরা তা অনুশীলন করতে থাকে। এক্ষেত্রে আমলকারী প্রত্যেক ব্যক্তির পুণ্যের সমপরিমাণ সুন্নাতকে জীবিতকারী সেই ব্যক্তির (আমলনামায়) পুণ্য যোগ হতে থাকবে, আর এতে করে আমলকারী ব্যক্তিগণের কোনো একজনেরও পুণ্যের পরিমাণে কোনো কমতি হবে না। অপর দিকে যে ব্যক্তি কোনো নতুনত্বের সংযোজন ঘটায় আর লোকেরা তা করতে থাকে, তা হলে এর ওপর আমলকারী সবার পাপের ভার তারই ওপর বর্তাবে। আর এতে সেই ব্যক্তিদের স্ব স্ব পাপের দায়ভারে কোনো কমতি হবে না।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সব ধরণের সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সর্বস্বত্ব: এমআরএল মিডিয়া লিমিটেড
ঢাকা অফিস: মডার্ণ ম্যানসন (১৫ তলা), ৫৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ময়মনসিংহ অফিস: হাসনাইন প্লাজা (দ্বিতীয় তলা), ৭ মদন বাবু রোড, ময়মনসিংহ-২২০০
সেলফোন: ০৯৬১১-৬৪৫২১৫, ০৯৬৯৭-৪৯৭০৯০
ই-মেইল: jagrota2041@gmail.com
ফোন :
ইমেইল :