বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলার রায়: চালকসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশ :
বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় দুই চালক ও এক হেলপারের (সহকারী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেয়া হয় বাসের মালিক ও এক হেলপারকে। রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। সড়ক দুর্ঘটনার এক বছর চার মাস তিন দিন পর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ (ঘাতক বাসের চালক) ও জুবায়ের সুমন এবং হেলপার আসাদ কাজী। রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত মাসুম ও জুবায়েরকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
অপরদিকে আসাদ কাজী পলাতক থাকায় রায়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রায় কেন্দ্র করে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের সামনেই রায় ঘোষণা হয়।
খালাস দেয়া হয় বাস মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার এনায়েত হোসেনকে। এছাড়া ঘাতক বাসের মালিক আসামি শাহাদাত হোসেনের মামলার অংশের কার্যক্রম উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। তার অংশ বাদ দিয়েই এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টার দিকে কারাগারে থাকা চার আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এর দুই মিনিট পর ৩টা ২ মিনিটের দিকে রায় পাঠ শুরু করেন বিচারক।
৩টা ২৭ মিনিটের দিকে রায় পাঠ শেষ হয়। রায়ে মামলার এজাহারের বর্ণনা, চার্জশিট (অভিযোগপত্র), সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তুলে ধরা হয়।
সেখানে উচ্চতর আদালতের বেশ কয়েকটি রেফারেন্স তুলে ধরেন বিচারক। রায়ে অপরাধের ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি (যাবজ্জীবন) দেয়া হয়েছে। এর চেয়ে আরও বেশি শাস্তি দেয়ার সুযোগ আদালতের নেই বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে রায়ের পর্যবেক্ষণে ড্রাইভার-হেলপার, বাস মালিক ও ট্রাফিকদের প্রতি বেশ কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মো. আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় , অপরাধ করে কেউ পার পায় না।
নিরাপদ সড়ক তৈরির লক্ষ্যে আমাদের যথাযথ লাইসেন্স নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে। স্থগিতাদেশ থাকা আসামির বিষয়ে তিনি বলেন, বাস মালিক শাহাদাত হোসেনের স্থগিতাদেশ বাতিলের জন্য শিগগিরই আবেদন করা হবে।
আসামি মাসুম বিল্লাহর আইনজীবী মো. হাশেম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র আন্দোলন থামানোর জন্য এ মামলায় ৩০৪ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এ মামলায় নিরপেক্ষ কোনো সাক্ষী নেই।
আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে এ মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। আসামি মাসুম বিল্লাহ যখন স্বীকারোক্তি দেন, তখন তিনি ডিবি অফিসে ছিলেন।
নিশ্চয়ই উচ্চতর আদালত এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন। রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেলেই এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে পরিবহন সেক্টরে ড্রাইভার-হেলপারদের খামখেয়ালিপানায় এদেশের উদীয়মান ছাত্রছাত্রীসহ বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের বাসের চাপায় পিষ্ট হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে যেমন ড্রাইভারদের সতর্কতা থাকা উচিত। তেমন আমাদের পুলিশ বাহিনী- ট্রাফিক বিভাগকেও সতর্ক থাকা আবশ্যক। কারণ একজন হালকা যান চালানোর লাইসেন্স দিয়ে হেভি গাড়ি চালাচ্ছেন।
ফলে যত্রতত্র দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে ট্রাফিকদের দায়িত্বের প্রতি আরও সচেষ্ট হওয়া আবশ্যক। অপরদিকে মালিকপক্ষ তাদের জমার জন্য ড্রাইভার ও হেলপারদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বেঁধে দেন।
বেঁধে দেয়া টাকা আয় করা ড্রাইভার-হেলপারদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। ফলে তারা (ড্রাইভার-হেলপার) মালিকপক্ষকে খুশি করতে যে কোনোভাবে অধিক যাত্রী তোলে এবং অধিক টাকা আয়ের লক্ষ্যে দ্রুততার সঙ্গে গাড়ি চালায়।
এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। মালিকদের এক্ষেত্রে অবশ্যই ‘পজিটিভ রোল প্লে’ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ড্রাইভার ও হেলপার ভাইরাও মালিকদের জমাসহ তাদের সংসার খরচ এ গাড়ি চালিয়ে নির্বাহ করতে চায়। এই অস্থিরতা দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ।
পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকার একটি স্বনামধন্য কলেজ। এখানের ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ড্রাইভারদের খামখেয়ালিপনায় অকালে ঝরে যেতে হল?
এক্ষেত্রে ড্রাইভার ও হেলপারদের খেয়াল রাখতে হবে- তারা যেন কোনো অবস্থাতেই অধিক টাকা আয়ের জন্য খামখেয়ালিভাবে যখনতখন যে কোনো মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর না ঘটায়।
বর্তমানে পরিবহন সেক্টরে এমন একটি অবস্থা বিরাজ করছে- কোনোভাবেই যেন এ দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। এজন্যই ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো একজন ব্যক্তি আজ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছেন।
এ ঘটনার পর মানুষ বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিল। অতিদ্রুততার সঙ্গে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের আশার প্রতিফলন কিছুটা ঘটেছে বলে আমার বিশ্বাস।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের রেষারেষিতে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে।
এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে দুই মাস পর ৬ সেপ্টেম্বর ছয়জনের বিরুদ্ধে ডিবির পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।
চার্জশিটে বাসের চালক ও হেলপারদের সহযোগিতায় পাল্লাপাল্লি ও রেশারেশি করে বেশি যাত্রী বেশি ভাড়া পাওয়ার লোভে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালায় বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে চার্জশিটের কোথাও লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ দেয়ার মূল হোতাদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এরপর গত বছরের ২৫ অক্টোবর এ মামলায় জাবালে নূরের মালিকসহ ওই ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।
গত বছরের ১ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
১৪ নভেম্বর এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করা হয়।
মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আগারগাঁও তালতলা থেকে আবদুল্লাহপুরের উদ্দেশে ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭ (১ম বাস) নম্বর বাসটি ছেড়ে আসে এবং ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৬৫৭ (২য় বাস) নম্বর বাসটি সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ও ঢাকা মেট্রো-ব-১১৭৫৮০ (তয় বাস) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে মিরপুর আনসার ক্যাম্প থেকে বাড্ডা নতুনবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ইসিবি চত্বরে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাস তিনটি একত্রিত হয়ে যায়। এরপর তৃতীয় বাসটি পেছনে পড়ে যায়। অন্য দুটি বাসের চালক ও হেলপারদের সহযোগিতায় পাল্লাপাল্লি ও রেষারেষি করে বেশি যাত্রী, বেশি ভাড়া পাওয়ার লোভে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো শুরু করে।
জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালে গিয়ে প্রতিদিনের মতো অপেক্ষমাণ যাত্রীদের নিজ বাসে আগে ওঠানোর উদ্দেশ্যে বাসের চালক ও হেলপাররা প্রতিযোগিতা রেষারেষি অব্যাহত রাখে। যার কারণে রাস্তায় বাস দুটি একে অপরকে তিন থেকে চারবার ওভারটেক করে।
বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর কারণে আসামি মাসুম বিল্লাহর চালিত ১ম বাসটি জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালে রেলিং ও ওয়ালের সঙ্গে তিন থেকে চারবার ঘষা লাগে। তাতে বাসটির বাম পাশের গ্লাস ভেঙে যায়।
বডির বিভিন্ন স্থানে চ্যাপটা হয়। ওই সময় বাসের যাত্রীরা বাসটি সাবধানে চালানোর জন্য ড্রাইভার ও হেলপারকে অনুরোধ ও চিৎকার করেন। তাতেও কেউ কর্ণপাত করেনি, যা চলাক ও হেলপাররা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর কারণে কেউ গুরুতর দৈহিক জখমের মাধ্যমে মারা যেতে পারে জেনেও চালক ও হেলপাররা অধিক যাত্রী উঠিয়ে বেশি অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে পাল্লাপাল্লি ও রেষারেষি করে বাস চালাতে থাকে।
তখন ২য় বাসটির চালক আসামি মো. জোবায়ের সুমন আসামি মাসুম বিল্লার চালিত ১ম বাসটিকে পেছনে ফেলে ফ্লাইওভারের ঢালের সামনে হোটেল র্যাডিসনের বিপরীত পাশে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে ডানদিকের রাস্তা ব্লক করে যাত্রী ওঠাতে থাকে।
মুহূর্তের মধ্যে আসামি মাসুম বিল্লাহ তার বাস চালিয়ে ডানদিক দিয়ে যেতে না পেরে স্বেচ্ছায় বামদিক দিয়ে গিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪ থেকে ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে উঠিয়ে দেন।
এতে ছাত্রছাত্রীরা গুরুতর জখম হয়। কলেজ ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় লোকজন আহতদের ধরাধরি করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী দিয়া খানম মীম (১৭) ও এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র আবদুল করিম রাজীবকে মৃত ঘোষণা করেন। একই কলেজের আরও ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওইদিনই ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে সর্বোচ্চ সাজা : বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলার বিচার শুরুর ১৩ মাস ৬ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত দ্রুত বিচার করে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বিচার শুরু হয়। এই মামলায় দুই চালকসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল দেয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের উল্টোদিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ২৯ জুলাই রাতেই এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।
একই বছরের ২২ অক্টোবর আদালত ওই চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর গত বছরের ২৫ অক্টোবর এ মামলায় জাবালে নূরের মালিকসহ ওই ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত।
গত বছরের ১ নভেম্বর মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। চার্জশিটভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ বছরের ৭ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা আদালতের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওইদিনই ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন আদালত।