বিশ্বের কোন দেশের ঈদের খাবার কেমন?
প্রকাশ :
করোনা মহামারির মধ্যেই বিশ্ব দ্বিতীয়বারের মতো আবার ঈদুল ফিতর পালন করছে। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে মুসলিম সম্প্রদায়। তাই ঈদের দিনটি ঘিরে বিশ্বের সব স্থানের মানুষেরা হরেক রকম খাবার তৈরি করে থাকেন।
স্বাভাবিকভাবেই একেক দেশের খাবারে ভিন্নতা থাকবেই। যেমন এদেশে সেমাই ছাড়া ঈদের মিষ্টিমুখ সম্পন্ন হয় না; ঠিক তেমনিই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরা ঈদে মিষ্টিজাতীয় মজাদার সব পদ তৈরি করে থাকেন। জেনে নিন ঈদে কোন দেশে কেমন খাবার তৈরি করা হয়-
বসনিয়ার ‘তুফাহিজা’
বসনিয়ার এতিহ্যবাহী এক খাবার হলো তুফাহিজা। এই বিশেষ রেসিপিটি ঈদসহ বিশেষ দিনে বসনিয়ানরা তৈরি করে থাকেন। আপেল সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় বিশেষ এই পদ। সেদ্ধ আপেলের মধ্যে আখরোট বাদামে ভরাট করা হয় এবং হুইপড ক্রিম দিয়ে উপরে সাজানো হয়।
বার্মাতে ‘শাই মাই ঈদ’
বার্মার মানুষেরা ঈদের দিন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবার শাই মাই ঈদ তৈরি করে থাকেন। তারাও আমাদের মতোই সেমাই রান্না করে থাকেন; তবে তা ভিন্ন উপায়ে। নারকেল, কিসমিস এবং কাজু বাদাম ভাজা দিয়ে তারা শাই মাই ঈদ পরিবেশন করে থাকেন।
ভারতে ‘শের খুরমা’
ভারতের মুসলিমরা ঈদে শের খুরমা তৈরি করেন। সেমাই দিয়েই মজাদার এক পদ শের খুরমা তৈরি করেন তারা। ঈদে ভারতে প্রস্তুত করা হয় মিষ্টান্ন। ঈদের নামাজের পর সবাই এই মিষ্টান্নের স্বাদ উপভোগ করেন।
লেবাননের ‘মামুল’
লেবাননে ঈদ উদযাপন মামুল ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাটার, খেজুর এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয় ছোট ছোট কুকিজ। লেবাননের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঈদে মামুল পরিবেশন করা হয়।
তুরস্কে ‘লোকুম’
হরেক রঙের মিষ্টির টুকরো এই লোকুন। বরফি আকৃতির বিশেষ এই মিষ্টি তুরস্কের সব ঘরেই ঈদের দিন তৈরি করা হয়। সেখানখান শিশুদের প্রিয় খাবার হলো লোকুম।
ইন্দোনেশিয়ার ‘লাপিস লেগিট’
ইন্দোনেশিয়ানরা তাদের ঈদ আনন্দে পরিপূর্ণ আনতে এই বিশেষ ডাচ কেক প্রস্তুত করে। হাজার হাজার স্তরযুক্ত মশলাদার এই কেক সবাই খুব পছন্দ করে। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার জলো লাপিস লেগিট।
লিবিয়ার ‘আসিদা’
জেলিজাতীয় ডেজার্ট হলো আসিদা। যদি কখনো আপনি লিবিয়ায় ঈদ উদযাপন করেন; তাহলে অবশ্যই আপনাকে সুস্বাদু জেলি জাতীয় ডেজার্ট, আসিদা পরিবেশন করা হবে। লিবিয়ানরা গমের ময়দা এবং মধু ব্যবহার করে তৈরি করেন আসিদা। ঈদে তারা এই ডেজার্ট অবশ্যই পাতে রাখেন।