ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনের জনপ্রিয় এমপি আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে ঘিরে একটি বিশেষ মহল বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার এবং গোপনে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক ও কিংবদন্তি মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ-এর পরিবারকে নিয়ে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সূত্র মতে, ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা এমপির স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি এডিট করে এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকার কথা বলে অতিমাত্রায় অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা, সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, আম জনতা, পেশাজীবী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিক্ষুব্ধরা জানান, একটি বিশেষ মহল ভালুকার বর্তমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, এমপির জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং পারিবারিক ঐতিহ্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একের পর এক মনগড়া ঘটনা সাজিয়ে কাল্পনিক, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিক্ষুব্ধরা প্রশাসনের প্রতি ষড়যন্ত্রকারী মহলটির কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকা আসনের এমপির স্ত্রী ব্যারিস্টার জেসমীন এরশাদ পুতুলের সাথে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাইয়ের সম্পদ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মামলা এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে ভাই-বোনের মধ্যে। এ ঘটনায় এমপি আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে বেকায়দায় ফেলতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য একটি বিশেষ মহল সম্প্রতি নীল নক্শা আঁটে। হাত মিলায় প্রবাসী এস এ এম খালেদ ইবনে এরশাদের সাথে। ষড়যন্ত্র অনুযায়ী সিসি টিভির ফাঁদ পাতেন মাদকাসক্ত ও বিকৃত মস্তিষ্কের খালেদ। আর না বুঝে ফাঁদে পা দেন ব্যারিস্টার জেসমীন এরশাদ পুতুল। এ সুযোগে আগের সিসি টিভির ফুটেজ এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরবর্তীতে পরিকল্পিতভাবে অখ্যাত এবং আন্ডারগ্রাউন্ড অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাল্পনিক ও মনগড়া নিউজের সাথে এডিট করা ফুটেজ প্রচার করা হয়। সূত্র মতে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে থাকা এক অতিথি পাখী বিষয়টি নিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যেই কলকাঠি নাড়ছেন। ঘটনার পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করারও অভিযোগ রয়েছে হাইব্রিড এই নেতার বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, ঢাকার ৩ নিউ বেইলী রোডের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভাই-বোনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি জানতে পেরে এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, আওয়ামী লীগের ৪ এবং বিএনপির ২ এমপি প্রার্থী প্রবাসী এস এ এম খালেদ ইবনে এরশাদকে মদদ দেন। এরই অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অব্যাহত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে বিষয়টি বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করেন নি ভালুকাবাসী। সর্বস্তরের মানুষ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মাদকাসক্ত ও বিকৃত মস্তিষ্কের এস এ এম খালেদ ইবনে এরশাদ অনৈতিক এবং অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়ানোর কারণে যুক্তরাজ্য পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এর পরই তিনি দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। ১০ মাস আগে দেশে ফিরেই পৈত্রিক সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারায় লিপ্ত হন। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে আশ্রয় নেন জাল-জালিয়াতির। শুরু করেন মা সমতুল্য বড় বোনের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র। সূত্র মতে, এমপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হলেও তিনি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেন নি। অন্যদিকে রমনা মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি। অপরদিকে অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রের বিষয়ে এমপির স্ত্রী ব্যারিস্টার জেসমীন এরশাদ পুতুল ইতিমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল সোমবার দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে বলেন, একটি বিশেষ মহল ভালুকায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। তারা ভালুকাবাসীর প্রিয় মানুষ আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপির বিরুদ্ধে মনগড়া ও কাল্পনিক অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। জনতা যেকোনো মূল্যে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, এমপির স্ত্রীর সাথে সম্পদ নিয়ে ভাইয়ের বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সুযোগে বিশেষ মহলটি অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মহলটি দীর্ঘ দিন ধরেই আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে বেকায়দায় ফেলার পথ খুঁজছিলো। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভালুকা উপজেলা কমাণ্ডের সাবেক কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজিম উদ্দিন মন্ডল জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক ও কিংবদন্তি মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ-এর সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু সকলের কাছের এবং প্রিয় মানুষ। এই নেতা তার বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন এবং মরহুম বাবার ঐতিহ্য ও কর্ম অনুসরণ করে ‘আধুনিক ভালুকা’ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এমপি ধনু ও তার পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা মানেই স্বাধীনতা বিরোধীদের মদদ দেওয়া। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। অন্যদিকে অভিন্ন বক্তব্যে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অর্ধশত নেতা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, ক্লিন ইমেজের সফল জনপ্রতিনিধি আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু নানান কারণে ভালুকার সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সবার কাছে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক ও কিংবদন্তি মরহুম বাবার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কর্মকে ধরে রাখার শপথ নিয়ে ১৯৮৫ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পান। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ জেলা, ভালুকা উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সততা, দক্ষতা এবং বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে তিনি জনপ্রতিনিধির সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছতে পেরেছেন। দেড় ডজন প্রার্থী থাকার পরও পারিবারিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সততা, দক্ষতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, বলিষ্ঠ ভূমিকা ও ক্লিন ইমেজের কারণে আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। তার বাবা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহ জেলা ও ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ মহান মুক্তিযুদ্ধের অনিয়মিত ৩টি বাহিনীর অন্যতম ‘আফসার বাহিনী’র প্রধান ছিলেন। পরে তিনি ১১ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এপ্রিলের প্রথম দিকে নিজ উদ্যোগে তিনি ‘আফসার বাহিনী’ গঠন করেন। ভারত সরকারের কোনো প্রকার সহযোগিতা ছাড়াই ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়ার ঢালুয়া থেকে ৫ সহস্রাধিক সদস্যের সমন্বয়ে ৭৬৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যান। নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ভারত সরকার এ বাহিনীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ ৮ মাসের টানা যুদ্ধে মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ-এর ছেলে নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও শ্যালক মতিউর রহমানসহ ৪৭ জন সদস্য শহীদ হন। আফসার বাহিনীর দেড় শতাধিক উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। এর মধ্যে ২৫ জুন ভালুকার ভাওয়ালিয়া বাজু শিমুলীয়া নদীরপাড়ের সম্মুখ যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার যুদ্ধে ১৯৫ জন পাক সেনা নিহত এবং আব্দুল মান্নান নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ২৫ জুন শুক্রবার সকালে ভালুকা আক্রমণ ও ক্যাম্প করার জন্য দেড় হাজার পাক সেনা গফরগাঁও থেকে ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে শিমুলীয়া ঘাট দিয়ে ভালুকা প্রবেশের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। সর্ব প্রথম তিনি এলএমজি দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। অন্যদিকে একই পরিবারে মহিলাসহ ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করার মতো। আর মুক্তিযোদ্ধা স্ত্রী খায়রুন নেছা বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে এখন শয্যাশায়ী। স্ত্রী-সন্তান, ভাই এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার মজাই আলাদা। যুদ্ধের ময়দানে অন্যরকম এক আনন্দ।
সূত্র জানায়, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভালুকায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সুদৃঢ় অবস্থানে ছিলেন আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু। তাকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চলছিলো ব্যাপক তোড়জোড়। ‘আধুনিক ভালুকা’ গড়ার রূপকল্প নিয়ে তিনি ভালুকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। তাকে বিবেচনা করা হয়েছিলো শক্তিশালী ও জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে। তার পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা, আম জনতা, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিশাল সমর্থক গোষ্ঠি। ক্লিন ইমেজের কারণে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের দৃষ্টিতেও ছিলো তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। আলোচনা-পর্যালোচনা ও নির্বাচনী জল্পনা-কল্পনায় তাকে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়ে চলে সরগরম আলোচনা। দলীয় কর্মসূচি পালন, সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভূমিকা রাখা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণেও তিনি খুবই জনপ্রিয়।
জানা যায়, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালুকা আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের ধারাবাহিকতা টানা পঞ্চম বারের মতো ধরে রাখাই ছিলো ‘প্রেস্টিজ ইস্যু’। তৎকালীন এমপি অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ বয়সের ভারে ন্যুব্জ এবং নানা কারণে তার ব্যক্তি ইমেজে ধস নেমেছিলো। দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিলো আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে। ভালুকায় নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিলো ক্লিন ইমেজের গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থী। আর জয় নিশ্চিত করতে জনমতে সবচেয়ে বেশী সমর্থন ছিলো আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুর প্রতি। ভালুকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দেড় ডজন। অপরাপর মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় ছিলেন তৎকালীন এমপি অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ, তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ গোলাম মোস্তফা, বিএসএমএমইউ’র কিডনী বিশেষজ্ঞ ডা. কে.বি.এম হাদিউজ্জামান সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সদরের পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসন। বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থীর ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে নৌকার সম্মানজনক বিজয় উপহার দেন আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু। তার প্রার্থীতায় নৌকার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভোট ব্যাংক অক্ষুন্ন ছিলো। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় থেকে প্রার্থীতার ভিত সুদৃঢ় করেন। নিজের ভোট ব্যাংক ছাড়াও দলমতের উর্ধ্বে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তার ব্যাপক সমর্থন ছিলো। সততা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, দায়িত্বশীলতা ও সামাজিকতা ছাড়াও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি প্রতিশ্রুতিশীল। দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের মধ্যেও রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু নিজেকে নিবেদিত করেছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান। দুস্থ এবং অসহায় মানুষের চিকিৎসা, বিয়ে, পড়ালেখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সড়ক ও সেতু ছাড়াও এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু।