দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগেই মিলছে টিকার সনদ
প্রকাশ :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার আগেই দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রায় সাড়ে ৮শ জনের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ না নিয়েই ইতোমধ্যে টিকার সনদও অনলাইন থেকে তুলেছেন অনেকে।এতে গোটা জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি- সার্ভারে সমস্যার কারণে ভুলবশত মেসেজ চলে গেছে।
ইতোমধ্যে যাদের টিকা না দিয়ে মেসেজ দেওয়া হয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা
দেওয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকার টার্গেট চিল ৭ হাজার ৭৯০ জন। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্ন করেছেন ৬ হাজার ৯৩২ জনের। এর মধ্যে ভুলবশত সকলের কাছে ম্যাসেজ চলে গেছে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ম্যাসেজ পেয়ে অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা না নিয়েই ইতোমধ্যে টিকার সনদও অনলাইন থেকে তুলেছেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ ঢাক পোস্টকে বলেন, আমার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার কথা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু গত ৭ সেপ্টেম্বর আমার মোবাইল ফোনে মেসেজ চলে আসে আপনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্ন হয়েছে। এমন মেসেজ পেয়ে আমি অনলাইন থেকে সনদও তুলে ফেলেছি। কিন্তু বাস্তবে আমি শনিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করিনি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফ আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, ৯ সেপ্টেম্বর আমার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু ৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার আগেই আমার মোবাইলে মেসেজ আসছে আপনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্ন হয়েছে। বাস্তবে আমি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিইনি।
তিনি বলেন, আমার মত অনেকেরই এ ধরনের মেসেজ আসছে। ফলে টিকা গ্রহণকারীরা বিপাকে পড়েছেন। আমি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ ঢাকা পোস্টকে জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের নবীগঞ্জে দ্বিতীয় ডোজ টিকার টার্গেট চিল ৭ হাজার ৭৯০ জন। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্ন করেছে ৬ হাজার ৯৩২ জনের। এর মধ্যে ডাটাএন্ট্রি করতে ভুলবশত সকলের মোবাইলেই মেসেজ চলে গেছে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত কারিগরি ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগেই মেসেজ চলে গেছে তাদের বিষয়ে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। ইতোমধ্যে অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা
পোস্টকে জানান, এ বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার
সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি সংশোধনের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি
জানিয়েছেন।
হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান
উজ্জল জানান, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাদের
কাছে ভুলবশত এ ধরনের মেসেজ চলে গেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্বিতীয় ডোজ
টিকা সম্পন্ন করা হবে। কারিগরি ত্রুটির জন্য এমনটা হয়েছে বলে তিনি জানান।