শাস্তির মুখে পেশাদার ফুটবলের আরেকটি ক্লাব
প্রকাশ :
পাতানো খেলার অভিযোগে শাস্তি পেতে যাচ্ছে পেশাদার ফুটবল লিগের আরেকটি ক্লাব। পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল ফর্টিস ফুটবল ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হলেও ঘোষণা করা হয়নি রানার্সআপ দল।
কারণ পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আজমপুর ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষেই আছে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ। যে কারণে এখনও রানার্সআপ দল ঘোষণা করতে পারেনি বাফুফে।
চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রফেশনাল ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছিলেন, ‘পাতানো খেলার অভিযোগ তদন্ত চলছে। যে কারণে আমরা রানার্সআপ দল ঘোষণা করছি না।’
জুনের মধ্যে পাতানো খেলা সনাক্তকরণ কমিটি প্রতিবেদক জমা দেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি।
জুনের মধ্যে না পারলেও কমিটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করে তার খসড়া বাফুফেতে জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটির বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটা মিটিং করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তারপর বাফুফে সেই প্রতিবেদন পাঠাবো তাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে।
বাফুফের একটি সূত্র জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নিশপ লিগে পাতানো খেলার যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রমাণ পেয়েছে কমিটি। পাতানো খেলার সঙ্গে যেসব ব্যক্তি জড়িত তাদেরও চিহ্নিত করেছে কমিটি। এখন বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি কি শাস্তির সুপারিশ করবে সেটাই দেখার। তবে বাফুফের একটি সূত্র বলেছেন, অভিযুক্ত ক্লাব পেশাদার লিগ থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার মতোই অপরাধ করেছে।
স্পট ফিক্সিং ও অনলাইন বেটিংয়ের প্রমাণিত হওয়ায় এর আগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে কয়েকজন কর্মকর্তা ও ফুটবলারকে।