রাজবাড়ী যোগদান করলেন দুর্নীতিবাজ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আসাদুজ্জামান মোল্লা
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ণ

16px
অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ কাণ্ডে ফেঁসে গেলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লা। রোববার (০১-০৬-২০২৫) তিনি রাজবাড়ী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে যোগদান করে চার্জ নিয়েছেন। এর আগে কিশোরগঞ্জে ছিলেন। বিষিয়ে তুলেছিলেন কিশোরগঞ্জ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মিল মালিক, পরিবহন ঠিকাদার ও ডিলারদের। ঘুষ বাণিজ্য, দলবাজি, দম্ভোক্তি ও অসদাচরণের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। শেষের ৬ মাস তার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। আসাদুজ্জামানকে নিয়ে গত ১৩-০৪-২০২৫ দৈনিক খোলা কাগজের শেষ পৃষ্ঠায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ কাণ্ডের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন ৬ ভুক্তভোগী। আসামি করা হয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ২২ জনকে।
সূত্র জানায়, বদলি ফেরাতে ৮ দিন প্রাণান্ত চেষ্টা চালান দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান। তাকে কিশোরগঞ্জ রাখতে তদবির চালায় সিন্ডিকেট। তার স্থলে অন্য কর্মকর্তা যোগদান করলেও চার্জ দিতে সময়ক্ষেপন করেন। বোরো সংগ্রহের ঘুষের বাকি টাকা তোলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। সূত্র মতে, বাবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সুবাদে শেখ হাসিনা পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লা ২২-১০-২০২৩ ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কিশোরগঞ্জে যোগদান করেন। এর আগে ১৪-১১-২০২২ থেকে ১৯-১০-২০২৩ পর্যন্ত গাজীপুরে কর্মরত ছিলেন। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পরও তিনি কিশোরগঞ্জেই থেকে যান। এক্ষেত্রে খাদ্য অধিদফতরের ‘চিরচেনা সিন্ডিকেট’ তাকে সহযোগিতা করে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান ঘুষের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। বোরো ও আমন সংগ্রহ মৌসুমে প্রতি টনের জন্য ৩০০ টাকা করে ঘুষ নেন। তার পরও পান থেকে চুন খসলেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিলারদের ওপর চড়াও হয়ে অতিরিক্ত টাকা নিতেন। নানা ছুতোয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ওসিএলএসডি, মিলার ও ডিলারদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। অধিকাংশ ঘুষ নিতেন গাড়ি চালক শফিকুল ইসলাম সুজনের মাধ্যমে। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার ও গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেন সুজন। সূত্র মতে, ঘুষের টাকা দিতে কেউ গড়িমসি করলে শোকজ করা হতো। দেড় বছরে অর্ধশত ঘটনা ঘটান দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান। নানা অপবাদে স্টাফদের বদলি করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী দোসর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ এবং জেলাজুড়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করার পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফুঁসে উঠেছিলেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সৃষ্টি হয়েছিল মিশ্রু প্রতিক্রিয়া। সিন্ডিকেটের কারণে তিনি পার পেয়ে যাচ্ছিলেন। শেখ হাসিনা পরিবারের ঘনিষ্ঠ আসাদুজ্জামান সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক হয়েও দীর্ঘ দেড় বছর কিশোরগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারা যোগাযোগ করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে। এদিকে দৈনিক খোলা কাগজে প্রতিবেদন প্রকাশ এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রাজবাড়ী বদলি করা হয়েছে। ১৩.০০.০০০০.০২২.১৯.০০১.২৪-১০২ স্মারকে ২০-০৫-২০২৫ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জয়নাল মোল্লা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লাকে (০৪০২৯) রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ীর আলমগীর কবিরকে (০২২০৯) কিশোরগঞ্জে বদলি করা হয়।
ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, শার্টের পকেট থেকে ঘুষের হিসাব বের করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাগে রাখেন দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান। ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়- এক ব্যক্তি তার কক্ষে যান। টেবিলে ৫০০ টাকার নোটের ব্যান্ডেল রাখেন। ঝটপট টাকা নিয়ে তিনি ব্যাগে ভরেন। এভাবেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মিলার ও ডিলারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্ক হাতিয়ে নেন। অন্যদিকে সক্ষমতা না থাকার পরও ৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে কিশোরগঞ্জের দু’টি অটোমেটিক রাইস মিলের লাইসেন্স দেন আসাদুজ্জামান। টাকা না দেওয়ায় লাইসেন্স পাননি কটিয়াদীর ২ মিল মালিক। সূত্র মতে, আসাদুজ্জামান অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য করে ৭০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। নামে-বেনামে গড়া সম্পদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও ডাকঘরে আমানত, ঢাকার শান্তিনগর পীরেরবাগ ও উত্তরায় বিলাশবহুল ৩টি ফ্ল্যাট ও সোনারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল জমি কিনেছেন। সম্প্রতি ঢাকার দক্ষিণখানে ৩ কাঠা জমি কেনার জন্য বায়না করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বদলি ফেরাতে ৮ দিন প্রাণান্ত চেষ্টা চালান দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান। তাকে কিশোরগঞ্জ রাখতে তদবির চালায় সিন্ডিকেট। তার স্থলে অন্য কর্মকর্তা যোগদান করলেও চার্জ দিতে সময়ক্ষেপন করেন। বোরো সংগ্রহের ঘুষের বাকি টাকা তোলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। সূত্র মতে, বাবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সুবাদে শেখ হাসিনা পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লা ২২-১০-২০২৩ ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কিশোরগঞ্জে যোগদান করেন। এর আগে ১৪-১১-২০২২ থেকে ১৯-১০-২০২৩ পর্যন্ত গাজীপুরে কর্মরত ছিলেন। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পরও তিনি কিশোরগঞ্জেই থেকে যান। এক্ষেত্রে খাদ্য অধিদফতরের ‘চিরচেনা সিন্ডিকেট’ তাকে সহযোগিতা করে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান ঘুষের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। বোরো ও আমন সংগ্রহ মৌসুমে প্রতি টনের জন্য ৩০০ টাকা করে ঘুষ নেন। তার পরও পান থেকে চুন খসলেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিলারদের ওপর চড়াও হয়ে অতিরিক্ত টাকা নিতেন। নানা ছুতোয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ওসিএলএসডি, মিলার ও ডিলারদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। অধিকাংশ ঘুষ নিতেন গাড়ি চালক শফিকুল ইসলাম সুজনের মাধ্যমে। কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার ও গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেন সুজন। সূত্র মতে, ঘুষের টাকা দিতে কেউ গড়িমসি করলে শোকজ করা হতো। দেড় বছরে অর্ধশত ঘটনা ঘটান দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান। নানা অপবাদে স্টাফদের বদলি করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী দোসর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ এবং জেলাজুড়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করার পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফুঁসে উঠেছিলেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সৃষ্টি হয়েছিল মিশ্রু প্রতিক্রিয়া। সিন্ডিকেটের কারণে তিনি পার পেয়ে যাচ্ছিলেন। শেখ হাসিনা পরিবারের ঘনিষ্ঠ আসাদুজ্জামান সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক হয়েও দীর্ঘ দেড় বছর কিশোরগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারা যোগাযোগ করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে। এদিকে দৈনিক খোলা কাগজে প্রতিবেদন প্রকাশ এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রাজবাড়ী বদলি করা হয়েছে। ১৩.০০.০০০০.০২২.১৯.০০১.২৪-১০২ স্মারকে ২০-০৫-২০২৫ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জয়নাল মোল্লা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লাকে (০৪০২৯) রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ীর আলমগীর কবিরকে (০২২০৯) কিশোরগঞ্জে বদলি করা হয়।
ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, শার্টের পকেট থেকে ঘুষের হিসাব বের করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাগে রাখেন দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামান। ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়- এক ব্যক্তি তার কক্ষে যান। টেবিলে ৫০০ টাকার নোটের ব্যান্ডেল রাখেন। ঝটপট টাকা নিয়ে তিনি ব্যাগে ভরেন। এভাবেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মিলার ও ডিলারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্ক হাতিয়ে নেন। অন্যদিকে সক্ষমতা না থাকার পরও ৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে কিশোরগঞ্জের দু’টি অটোমেটিক রাইস মিলের লাইসেন্স দেন আসাদুজ্জামান। টাকা না দেওয়ায় লাইসেন্স পাননি কটিয়াদীর ২ মিল মালিক। সূত্র মতে, আসাদুজ্জামান অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য করে ৭০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। নামে-বেনামে গড়া সম্পদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও ডাকঘরে আমানত, ঢাকার শান্তিনগর পীরেরবাগ ও উত্তরায় বিলাশবহুল ৩টি ফ্ল্যাট ও সোনারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল জমি কিনেছেন। সম্প্রতি ঢাকার দক্ষিণখানে ৩ কাঠা জমি কেনার জন্য বায়না করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।