, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

প্রতিরোধের মুখে পাক বাহিনী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

প্রতিরোধের মুখে পাক বাহিনী

১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতে পাক সেনাবাহিনী সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে যুদ্ধ না জানা বাঙালিদের তীব্র প্রতিরোধের মুখ পড়ে পাক বাহিনী। বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহীসহ বিভন্ন স্থানে পাকসেনা নিহতের খবর আসে।


যশোরের খণ্ডযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় পাক সেনারা। সাতক্ষীরাসহ বেশ কিছু এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটির খবরে উদ্বিগ্ন হানাদার বাহিনী সারাদেশে পাঠাতে শুরু করে রিজার্ভ সেনাদের। ঢাকাতেও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তল্লাশি শুরু হয়।


এদিকে ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইন্দিরা গান্ধি। কয়েক লাখ শরণার্থীর পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার খবর শিরোনাম হয়ে ওঠে বিশ্ব গণমাধ্যমে। কোলকাতায় প্রথমে খোলা হয় ত্রাণ কার্যালয়, পরে দ্রুত সময়ে ক্যাম্প গড়ে ওঠে।


ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বাজপেয়ীর নেতৃত্বে প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের মিছিল হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে। প্রগতিশীল বামপন্থী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ অব্যাহত কোলকাতা ও দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস দলীয় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় রাস্তায় নামেন উদ্বাস্তুদের ত্রাণের চাঁদা তুলতে।

  • সর্বশেষ - একাত্তরের এই দিনে