, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

পর্যটন স্থানে দূষণ

  ভ্রমন ডেস্ক

  প্রকাশ : 

পর্যটন স্থানে দূষণ

ছবি : সংগৃহীত

দেশের উল্লে­খযোগ্য পর্যটন স্থান হচ্ছে খাগড়াছড়ি, সাজেক, বান্দরবান, সিলেট, সুন্দরবন, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন সমুদ্রসৈকত ইত্যাদি। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, পর্যটকদের অসচেতনতার কারণে নষ্ট হচ্ছে পর্যটন স্থানগুলোর সৌন্দর্য। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটন স্পটে থাকে ভ্রমণপিয়াসী মানুষের উপচে পড়া ভিড়।


পর্যটকরা যত্রতত্র ফেলছেন অপচনশীল পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোলা, চিপসের প্যাকেট ইত্যাদি। ইদানীং পাহাড় ও সমুদ্রসৈকতে প্লাস্টিকদূষণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। অবশ্য অধিকাংশ ভ্রমণ স্থানে নেই ডাস্টবিন। ফলে পর্যটকদের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য।


একটি পরিসংখ্যান বলছে, সমুদ্রের পানিতে পাঁচ ট্রিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক ভেসে থাকে। ১৪ মিলিয়ন টনের বেশি প্লাস্টিক প্রতিবছর সমুদ্রে জমা হচ্ছে। খাদ্য হিসেবে ভুল করে প্লাস্টিক খাওয়ার ফলে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে। অনেক পর্যটন স্থানে পরিবেশের ক্ষতি করে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ হোটেল, রিসোর্ট। পাহাড়, গাছপালা কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে বসতি।


সৌন্দর্য ঘেরা বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প অপার সম্ভাবনাময়। তবে চলমান দূষণ প্রক্রিয়া পর্যটনশিল্প উন্নতির অন্তরায়। তাই পর্যটনশিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি হয়ে পড়েছে। সচেতন ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন স্থান বিদেশি পর্যটকদেরও আকর্ষণ করে। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানুষ উদাসীন! পর্যটন স্থানগুলো আমাদের জাতীয় সম্পদ। এগুলো রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তাই পর্যটন স্থানগুলো পরিবেশবান্ধব রাখার ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি সচেতনতাও একান্ত জরুরি।

  • সর্বশেষ - ভ্রমণ