, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

শাহারুল ইসলাম সুজনের একগুচ্ছ ছড়া

  সাহিত্য ডেস্ক

  প্রকাশ : 

শাহারুল ইসলাম সুজনের একগুচ্ছ ছড়া

করতে হবে জয়

লিখতে হবে পড়তে হবে
খুলতে হবে বই,
ধরতে হবে চড়তে হবে
জ্ঞান সাধনার মই।

জানতে হবে বুঝতে হবে
শিখতে হবে কাজ,
করতে হবে পারতে হবে
ছাড়তে হবে লাজ।

চলতে হবে বলতে হবে
ভুলতে হবে ভয়,
জাগতে হবে লড়তে হবে
তবেই হবে জয়।

****

জীবনের বাঁকে

জীবন চলার বাঁকে বাঁকে
আলো-কালো সবই থাকে
হাসি-কান্না তা-ও,
সফলতার কৃতি থাকে
ব্যর্থতারই ঝঞ্ঝা থাকে
বিপদ-বাধাটাও!

ভালোবাসার প্রীতি থাকে
মিথ্যা মায়ার স্মৃতি থাকে
মন মাঝি বৈঠায়,
হৃদয় ভরা আবেগ থাকে
ভাঙা-গড়ার দহন থাকে
এক জীবনের নায়।

পথ দেখানোর মানুষ থাকে
নিন্দাকারীর নিন্দা থাকে
পিছে সারাক্ষণ,
ভালো-খারাপ সব মিলিয়ে
বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে
চলছে এ জীবন।

****

স্বপ্নচারী

স্বপ্ন আঁকি স্বপ্ন মাখি
স্বপ্ন দেখেই বাঁচি,
স্বপ্নে বিভোর স্বপ্ন পুষে
এই তো ভালো আছি।

নানা রকম স্বপ্ন আমার
রঙিন আলোয় গাঁথা,
স্বপ্নজালে জড়ানো এই
হৃদয়পুরের খাতা।

জীবন চলার প্রতিকূলে
পিছলে যখন পড়ি,
স্বপ্ন মায়ায় অটল থেকে
স্বপ্ন দিয়েই লড়ি।

সফলতার স্বপ্ন বুনে
নিত্য ছুটে চলি,
স্বপ্নচারীর স্বপ্ন কভু
হয় না জলাঞ্জলি।

****

শহরের বুকে

শহরের বুকে কত মানুষের ভীড়!
ইট-বালু, পাথরে গড়ে ওঠা নীড়।
নানান মানুষ তাই নানা মতামত,
তৈরি করেছে এই বহু ইমারত।

ফেস্টুন পোস্টারে ভরা চারিদিক,
লাল নীল আলো জ্বলে করে চিকচিক।
হরেক বাহন চলে শহরের বুকে,
ধুলোবালি কালো ধোয়া বাতাসেই চুকে।

পিচঢালা রাস্তায় ব্যস্ততা পথে,
করে সবে যাতায়াত ইঞ্জিন রথে।
দেখা যায় কত শত রেলক্রসিং,
হুইসেল দিয়ে রেল করে টার্নিং।

অফিস ও আদালত, ব্যবসায় খানা,
নিত্য হাসপাতালে রোগীদের হানা।
পার্ক-চিড়িয়াখানা হয় জমজমাট,
ঘুরে ঘুরে বাচ্চারা শেখে নব পাঠ।

দেশসেরা জ্ঞানঘর শহরেই থাকে,
এখানেই ছেলেমেয়ে স্বপ্নটা আঁকে।
কোলাহলে মুখরিত শহরের বুক,
আধুনিক রূপ দেখে মিটে যায় দুঃখ।

ছড়াকার: শিক্ষার্থী, কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয়, নেপাল।

  • সর্বশেষ - সাহিত্য