, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

সন্ধ্যাবেলায় দোয়া করার গুরুত্ব

  ইসলাম ডেস্ক

  প্রকাশ : 

সন্ধ্যাবেলায় দোয়া করার গুরুত্ব

দোয়া বা আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়া স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মূল বলা হয়েছে। দোয়ার জন্য কোরআন-হাদিসে সময়ের কোনও বাধ্যবাধকতা ও সীমাবদ্ধতা নেই। বরং আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে যেকোনও সময় দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো।’ -(সূরা গাফির, আয়াত, ৬০)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যখন কোনো আহ্বানকারী আমাকে ডাকে তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকি। -(সূরা বাকারা, আয়াত, ১৮৬)

বিখ্যাত তাবেয়ী আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ. বলেন, যখন


ادْعُوْنِیْۤ اَسْتَجِبْ لَكُم

আয়াতটি নাজিল হল তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লোকেরা জিজ্ঞাসা করল যে, আমরা কোন সময়টাতে দোয়া করব তা যদি জানতে পারতাম তখন সূরা বাকারার এই আয়াতটি

وَ اِذَا سَاَلَكَ عِبَادِیْ عَنِّیْ فَاِنِّیْ قَرِیْبٌ ؕ اُجِیْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ اِذَا دَعَانِ

অর্থ : আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে।- (সুরা বাকারা, আয়াত, ১৮৬) -নাজিল হয়।

এই আয়াতে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, বান্দা যখনই আল্লাহ তায়ালাকে ডাকে, দোয়া করে তখনই তিনি তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন এবং দোয়া কবুল করে থাকেন

এ থেকে বুঝা যায়, কোনো ব্যক্তি দিনে-রাতে যে কোনো সময় দোয়া-মুনাজাত করতে পারে। তবে আসর থেকে মাগরিবের মধ্যবর্তী সময় অর্থাৎ সন্ধ্যাবেলায় বিশেষভাবে আল্লাহ তায়ালার দিকে মনোযোগী হয়ে তাসবীহ-তাহলীল, যিকির ও দোয়াতে লিপ্ত থাকা উত্তম। একাধিক আয়াত ও হাদীসে তা বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

وَ اصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدٰوةِ وَ الْعَشِیِّ یُرِیْدُوْنَ وَجْهَهٗ

আর আপনি নিজেকে তাদের সঙ্গে সংযুক্ত রাখুন যারা তাদের রবকে সকাল ও সন্ধায় তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ডাকে। -(সূরা কাহফ, আয়াত, ২৮)

এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু উমামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকর-আযকার, তাসবীহ-তাহলীল ও তাকবীর-তাহমীদ করা আমার নিকট ইসমাঈল আ.-এর বংশধর থেকে দুই বা ততোধিক গোলাম আযাদ করার চেয়ে অধিক প্রিয় এবং আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত (এমন করাটা) ইসমাঈল আ.-এর বংশধর থেকে চারজন গোলম আযাদ করা অপেক্ষা অধিক প্রিয়। -(আলমুজামুল কাবীর তাবারানী, হাদীস ৮০২৮; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২২১৮৫; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৩২)

  • সর্বশেষ - অতিথি কলাম