, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

বিছনাকান্দির সৌন্দর্য দেখতে যখন যাবেন

  ভ্রমণ ডেস্ক

  প্রকাশ : 

বিছনাকান্দির সৌন্দর্য দেখতে যখন যাবেন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে সিলেট বেশ জনপ্রিয়। পুরো সিলেট জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে বিছনাকান্দি অন্যতম। চাইলে একদিনেও ঘুরে আসতে পারেন বিছনাকান্দি থেকে। সেখানকার পাহাড়, ঝরনা ও পাথরের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বিছনাকান্দি। জাফলং ও ভোলাগঞ্জের মতোই বিছনাকান্দি একটি পাথর কোয়ারী। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের খাসিয়া পাহাড়ের অনেকগুলো ধাপ দু’পাশ থেকে এসে বিছনাকান্দিতে মিলিত হয়েছে।

jagonews24

একই সঙ্গে মেঘালয় পাহাড়ের খাঁজে থাকা সুউচ্চ ঝরনা বিছনাকান্দির প্রকৃতিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পর্যটকদের কাছে বিছনাকান্দির মূল আকর্ষণ হলো পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ জলধারা।

আর পাহাড়ে উপরে ভেসে চলা মেঘের খেলা তো আছেই। প্রথম দেখায় আপনার মনে হবে এ যেন এক পাথরের বিছানা। বিছনাকান্দির স্বচ্ছ পানি দেখেই আপনার তাতে গা এলিয়ে দিতে ইচ্ছে হবে।

jagonews24

তবে বিছনাকান্দির অপরূপ সৌন্দর্য আপনি যে কোনো সময় উপভোগ করতে পারবেন না। বিছনাকান্দি ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো জুন-সেপ্টেম্বর মাস।

এ সময়ের মধ্যে চারদিকে প্রচুর পানি প্রবাহ থাকে। ফলে পানির মধ্যে ভেসে থাকা বড় বড় পাথর সেখানকার সৌন্দর্য বাড়ায়। আর অন্যসময় গেলে আপনি পানির দেখা পাবেন না। তাই উপযুক্ত সময়ের মধ্যেই বিছনাকান্দি ভ্রমণে যান।

jagonews24

বিছনাকান্দি কীভাবে যাবেন?

প্রথমেই সিলেট যেতে হবে আপনাকে। তারপর সিলেট শহরের যে কোনো স্থান থেকে রিজার্ভ করা সিএনজি নিয়ে যান হাদার বাজার। ভাড়া নেবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা।

আবার সিলেটের আম্বরখানা থেকেও যাওয়া যায় আলাদাভাবে। সেক্ষেত্রে প্রতি সিএনজিতে ৪ জন করে যাওয়া যায়, ভাড়া পড়ে জনপ্রতি ৮০ টাকার মতো। সময় লাগতে পারে প্রায় দেড় ঘণ্টা।

jagonews24

হাদার বাজার নেমে নৌকা ঠিক করতে হবে বিছনাকান্দি পর্যন্ত। ৫০০ টাকা ভাড়ায় আসা-যাওয়ার জন্য রিজার্ভ নৌকা পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে দামাদামি করতে হবে। ১০০০ এমনকি ১৫০০ পর্যন্তও দাম চাইতে পারে মাঝিরা।

এজন্য দামাদামি করে উঠবেন। হাদার বাজার থেকে বিছনাকান্দির দুরত্ব খুব একটা বেশি না। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যেতে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট লাগবে। সেখানে পৌঁছে বিছনাকান্দি ঘুরে আবার নৌকাতে চড়েই ফিরতে হবে হাদার বাজার।

  • সর্বশেষ - ভ্রমণ