, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত দিঘা সমুদ্রসৈকত

  ভ্রমন ডেস্ক

  প্রকাশ : 

আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত দিঘা সমুদ্রসৈকত

এমনিতেই করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটনে চলছে দুরবস্থা। প্রায় তিন মাস ধরে কোনো আয় নেই পর্যটন খাতে। দিশেহারা এখন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তার ওপর আবার আম্ফানের আঘাত। ফলে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় দিঘা সমুদ্রসৈকত। যা কাটিয়ে উঠতেও সময় লাগবে কিছুটা।

তবে আশার কথা হচ্ছে- শেষ পর্যন্ত দিঘাকে কিছুটা এড়িয়ে আম্ফান বাঁক নেয় সাগরদ্বীপের দিকে। ফলে আম্ফানের তাণ্ডব সরাসরি দিঘার ওপর পড়েনি। তাতেই ক্ষতির পরিমাণ একটু কম। তবে আম্ফানের পরোক্ষ প্রভাবেও এখানে ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়।

digha-1

জানা যায়, দুপুরের পর থেকেই বাড়তে শুরু করে ঝড়ের তীব্রতা। বিকেলের পর আরও বাড়ে দাপট। তাণ্ডবে লন্ডভন্ড অবস্থা হয় দিঘা উপকূলীয় এলাকার। একাধিক জায়গায় ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি উড়ে গেছে ঘরের চাল। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। বিশাল বিশাল ঢেউ রেলিং উপচে আছড়ে পড়ে দিঘার রাস্তায়।

দিঘায় বুধবার সকাল থেকেই সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। সমুদ্রের গর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আছড়ে পড়ে ঢেউ। পাশাপাশি প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। সকালের জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমুদ্রবাঁধ। ঝড়ের দাপটে উড়ে যায় দিঘা রেল স্টেশনের করোগেটেড শিট। বিদ্যুত্-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সমস্ত এলাকা।

digha-1

দিঘায় সেই মুহূর্তে কোনো পর্যটক ছিল না। তবে হোটেল মালিক ও কর্মীসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয় জলদার আশ্রয় শিবিরে। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনা হয় সেখান থেকে।

বিকেল পর্যন্ত জোয়ার ছিল না সমুদ্রে। মূলত সমুদ্রে ভাটা থাকায় জলোচ্ছ্বাসের আঘাত থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিরাপদ স্থানে সবাইকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষতি কম হয়েছে।

  • সর্বশেষ - ভ্রমণ