, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

জীবন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা জরুরি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

জীবন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা জরুরি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, জীবন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা সৃষ্টি করা জরুরিG তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। প্রতিটি মানুষের মধ্যে জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই ধীরে ধীরে সমাজ থেকে মাদক এবং তামাকের দৌরাত্ম্য কমে যাবে, শুভ শক্তির বিজয় হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ন্যাশনাল সেমিনার টু সাপোর্ট স্মোক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড টোবাকো কনট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং (বিপিএফএইচডব্লিউ)।

ড. মশিউর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, জঙ্গিবাদ, অস্ত্র ও মাদক-তামাকের একটি শক্তিশালী অর্থনীতি আছে। এসব পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে সুস্থ ধারার অর্থনীতির চর্চা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমরা মুখে যতই বলি না কেন, বিশ্বে পরিপূর্ণভাবে তামাকমুক্ত দেশ সৃষ্টি করা আদৌও সম্ভব হয়েছে কি না বা হবে কি না সেটি একটি কঠিন বিষয়। কেননা বিশ্ববাজারে পুঁজির সঞ্চালন যখন থেকে সমাদৃত হয়েছে, এসব অশুভ দিকগুলো পুঁজি তৈরির অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সুতরাং এটি ক্যাপিটাল তৈরি করে এবং আমরা এই ক্যাপিটালের কাছে নতজানু হই।

তামাক-মাদক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতি বিষয়ক নীতিমালা যখন যেটা গৃহীত হোক না কেন, সবকিছুতেই আমরা আইনের কথা বলি। কিন্তু যথাযথ আইনের প্রয়োগ অত্যন্ত জটিল। কেননা আমরা এই রকম একটা পুঁজিবাজারের মধ্যেই বসবাস করছি, যেখানে তাদের সব সুবিধা রয়েছে। তাহলে কি আমরা হতাশ হয়ে বিষন্ন হয়ে ছেড়ে দেবো? না। সমাজে আসলে সব সময়ই এরকম একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে কনসেনশাস তৈরি হয়। রাষ্ট্র এক সময় নিবর্তনমূলক ছিল, সেটি এখন কল্যাণকর হয়েছে। ঠিক তেমনি এই সব ইতিবাচক উপকরণগুলো আমাদের মধ্যে ধীরে ধীরে শুভ ও সুন্দরের প্রচেষ্টাগুলো অব্যাহত রাখবে। তখনই মূলত মন্দ জিনিসগুলো অবদমিত হতে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ইতিবাচক উদ্যোগগুলো যতো সুন্দর করে গ্রহণ করা যাবে, ততোই খারাপ বিষয়গুলো দূর হবে। তা একদিনেই সম্ভব হবে তা নয়। বিশ্ব ইতিহাস বলে বহু খারাপ কিছুকে আমরা নির্মূল করেছি শুভ উদ্যোগগুলোর মধ্য দিয়ে। আসলে পণ্য বাজারে আমরা বিজ্ঞাপনের যে চিত্র দেখি, আমরা যতোই সভা সেমিনার করি না কেন; যারা মাদক- তামাকের প্রচারক, তাদের প্রচার আরও অনেক বেশি শক্তিশালী। নানা উপায়ে তারা প্রচার করে। আমাদেরকেই তারা মডেল হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা ব্যবহৃত হই। আসলে পুরোটাই একটা পুঁজিবাজারের ব্যবস্থাপনা। এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে শক্তই হতে হয়। ইতিহাস বলে সমাজে বেশির ভাগ মানুষ যা চায় তাই হয়। আমরা ইতিবাচকতার দিকে যাচ্ছি। এর মধ্য দিয়েই আমরা অশুভকে তাড়াতে সক্ষম হবো।

সেমিনারে সভাপতিত্বে করেন বিপিএফএইচডব্লিউয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. হাবিবে মিল্লাত। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ। 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান, সংসদ সদস্য রুবিনা আক্তার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ।

  • সর্বশেষ - শিক্ষাঙ্গন