, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

বেসরকারি শিক্ষকদের ঈদ বোনাস দিন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

বেসরকারি শিক্ষকদের ঈদ বোনাস দিন

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় আনা হয়েছে। শতভাগ বেতন, ইনক্রিমেন্ট দেওয়া, বৈশাখী তথা বাংলা নববর্ষ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। অনেক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। এতে অবশ্যই তারা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো আছেন- এটি অনস্বীকার্য। কিন্তু উৎসব ভাতাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারা দীর্ঘদিন বঞ্চিত- এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তৎকালীন বিএনপি সরকার এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা দেওয়া শুরু করে। দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ উৎসব ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়নি। শিক্ষকরা অত্যন্ত যৌক্তিকভাবেই এ উৎসব ভাতা শতভাগ প্রদানের দাবি করে আসছেন বারবার। সরকারি শিক্ষকরা শতভাগ উৎসব ভাতা পাবেন, অথচ একই দায়িত্ব পালনকারী বেসরকারি শিক্ষকরা শতভাগ উৎসব ভাতা পাবেন না- এটি কোনো যুক্তিতেই মেনে নেওয়া যায় না।


বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার স্বেচ্ছায় এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে; ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে পেরেছে; অনেক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করতে পেরেছে। অথচ শিক্ষকদের ২৫ ভাগ ও কর্মচারীদের ৫০ ভাগ উৎসব ভাতাকে শতভাগে উন্নীত করতে পারছে না কোন যুক্তিতে? অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০২০ সালের টিউশন ফি এবং ২০২১ সালের সেশন চার্জ নেওয়া যায়নি; টিউশন ফিও নেওয়া যাচ্ছে না। সব অভিভাবক বেতন-ফি দিতে অক্ষম, তা কিন্তু নয়। ক্লাস না হওয়ার কারণে যারা সক্ষম তারাও বেতন-ফি দিতে চাচ্ছেন না বা দিচ্ছেন না। বর্তমান বাজারে শুধু এমপিওর সামান্য টাকা দিয়ে একজন শিক্ষকের সংসার চালানো সম্ভব নয়। আসন্ন ঈদে যদি শিক্ষকদের শতভাগ বোনাস দেওয়া না হয়; 'ঈদ অর্থ আনন্দ' সেটি আর তাদের ও তাদের সন্তানদের কাছে সত্য থাকবে না। এ অবস্থায় সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব বোনাস পাওয়া যাবে বলে বেসরকারি শিক্ষকরা বিশ্বাস করেন।


অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা

  • সর্বশেষ - শিক্ষাঙ্গন