, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

রমজানের শেষ দশকের ফজিলত

  ধর্ম ডেস্ক

  প্রকাশ : 

রমজানের শেষ দশকের ফজিলত

আরবি ‘রমজ’ শব্দ থেকে ‘রমজান’ শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ ‘দহন’, জ্বলন’। আর রোজাকে আরবিতে বলা হয় ‘সিয়াম’। ‘সিয়াম’ পালনের কারণে সায়েম বা রোজাদারের পেট জ্বলতে থাকে। আর এই অবস্থা বোঝানোর জন্য আরবি ভাষায় বলা হয়, আস-সায়িমু ইয়ারমাদু তথা রোজাদার দগ্ধ হয়। এই শব্দ থেকে গঠিত হয় আর-রামাদাউ তথা উত্তাপের তীব্রতা। এই অর্থ থেকে রমজান হলো অব্যাহত তীব্র দহনের সমষ্টি।


রমজান হিসেবে এ মাসের নামকরণের কারণ হলো, রমজানের নেক আমল সব গুনাহ জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয়।
রোজার আরবি হলো সাওম বা সিয়াম আর সাওম বা সিয়াম অর্থ বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। সিয়াম প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের ওপর সিয়াম (রোজা) ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৩৮)


রমজান মাসের রোজাব্রত পালন করা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, পাঁচটি বিষয়ের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত : এ কথা সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই আর অবশ্যই মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা এবং রমজান মাসের রোজা পালন করা। (বুখারি, হাদিস : ৮; মুসলিম, হাদিস : ১৬) আর রোজা এমন একটি আমল, যার মাধ্যমে নিশ্চিত জান্নাত লাভ হয় এবং জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-কে আমি বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর পথে যে ব্যক্তি রোজাব্রত পালন করে, আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে সাত বছরের দূরত্বে নিয়ে যাবে। (বুখারি, হাদিস : ২৮৪০; মুসলিম, হাদিস : ১১৫৩)…।


শেষ ১০ দিনের মহামূল্যবান আমল হলো ‘ইতিকাফ’ তথা ইবাদত-বন্দেগির নিমিত্তে নিয়ত করে মসজিদে অবস্থান নেওয়া। কোরআন যে ইবাদতের কথা উদ্ধৃত করেছে। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ আমল যে আল্লাহর রাসুল (সা.) হজরত উমর (রা.)-কে জাহিলি যুগের ইতিকাফের মানত ইসলাম গ্রহণের পর পূরণ করতে বলেছিলেন। এ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) ইন্তেকাল অবধি প্রতিবছরই ইতিকাফ থেকেছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ পালন করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬; মুসলিম, হাদিস : ১১৭২)

  • সর্বশেষ - অতিথি কলাম