, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

ফরিদপুরে থানায় হামলা: দুই মামলায় আসামি আড়াইশো

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

ফরিদপুরে থানায় হামলা: দুই মামলায় আসামি আড়াইশো

ফরিদপুরে ওয়াজ মাহফিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে থানায় হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা করা হয়েছে। এতে অন্তত আড়াইশো ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহ ও করিমপুরের এক ভবন মালিক নান্নু শেখ বাদী হয়ে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ও মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পৃথক মামলা দুটি করেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে আটজন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা, থানা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ভবনটি যে বাড়িতে অবস্থিত সেই বাড়ির মালিক নান্নু শেখ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। হামলার কারণে তার ব্যক্তিগত একটি মাইক্রোবাস ও ভাড়ায়চালিত একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয় বলে তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, দুই মামলায় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের। তবে অনুমতি না নেওয়ায় মাহফিল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এতে উত্তেজিত জনতা কানাইপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় হামলা চালায় এবং কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ।

  • সর্বশেষ - সারাদেশ