তিন মেয়ে, পারিবারিক অশান্তির বলি হলো ছোটটি
প্রকাশ :
রংপুরের মিঠাপুকুরে ৫২ দিনের শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগ মা খালেদা
বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর
গ্রামে গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার খালেদা বেগমকে আজ শনিবার
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার খালেদা গ্রামের
দিনমজুর সুলতান মিয়ার স্ত্রী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার
করে পুলিশকে বলেছেন, অভাবের সংসারে পরপর তিনটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ায়
শিশুটিকে হত্যা করেছেন তিনি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,
সুলতান-খালেদার দুই মেয়ের বয়স ১৩ বছর ও ৬ বছর। এরপর তাঁদের সংসারে আরও একটি
মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। অভাবে সংসারে তিনটি মেয়েশিশু হওয়ায় পারিবারিকভাবে
অশান্তি লেগে ছিল। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়ির পাশে
একটি পুকুরে একটি শিশুর লাশ ভাসতে দেখে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে
শিশুটির লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার সকালেই ঘটনাটি শুনেছি। তবে শিশুটির লাশ পুকুরে কী কারণে পাওয়া গেল, তা কিছুটা রহস্যজনক।’
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির মা খালেদা বেগম ও বাবা সুলতান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির মা শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, অভাবের সংসারে পরপর তিনটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ায় সংসারে অশান্তি হতো। তাই পানিভর্তি একটি ড্রামে শিশুটিকে হত্যা করার পর পুকুরে ফেলে দেন। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সুলতান মিয়া বাদী হয়ে স্ত্রী খালেদা বেগমকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।