, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

ঢাবিতে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নেই কোনো প্রস্তুতি

  অনলাইন ডেস্ক

  প্রকাশ : 

ঢাবিতে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নেই কোনো প্রস্তুতি
ঢাবিতে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নেই কোনো প্রস্তুতি

করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে তিন রোগী শনাক্ত হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো প্রস্তুতিই নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ড কমিটির সভায় শুধু নির্দেশনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো প্রস্তুতির উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। হলগুলোতেও নেই কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা প্রচলিত হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি বহাল রেখেছে। সাংগঠনিক নির্দেশনার পরও বন্ধ হচ্ছে না এ ধরনের পরিস্থিতি। হ্যান্ডশেক, কোলাকালি চলছে। এতে ঝুঁকিতে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল ভবনগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এসব ভবনের ওয়াশরুমে কোনো প্রকার হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়নি। হলগুলোর অধিকাংশই ঘনবসতি এলাকা। এসব এলাকায় করোনা ছড়ালে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাছাড়া সচেতনতা সৃষ্টিতেও কোনো ধরনের টাস্কফোর্স কিংবা কমিটি গঠন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যালেও নেই কোনো প্রকার ব্যবস্থা। চিকিত্সা দূরে থাক এখানে কোয়ারেন্টাইন, থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক কোনো ব্যবস্থা-ই নেই। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের কারো জ্বর হলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করছে। প্রস্তুতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডা. সারওয়ার জাহান মুক্তাফী বলেন, এখানে করোনাবিষয়ক কোনো ধরনের সরঞ্জাম নেই। তবে আমরা বিভিন্ন হল ও বিভাগে সচেতনতামূলক নির্দেশনা পাঠিয়েছি। এর বাইরে কোনো ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার সে সক্ষমতা নেই।

শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। এর একপাশে বুয়েট ও অন্যপাশে দেশের সবচেয়ে ঘনবসতি এলাকা পুরান ঢাকা। এমন পরিস্থিতিতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড়ো উপায় হলো সবাইকে সাবধানে ও সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। আর বিভিন্ন আচরণে শিষ্টাচার অনুসরণ করা। এসব নিয়ে শঙ্কিত হওয়া যাবে না।

প্রস্তুতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের সব শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের বিষয়ে আমরা দায়িত্বশীল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও হলগুলোতে প্রস্তুতির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়েও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ - শিক্ষাঙ্গন