, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

আমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব: শেখ রেহানা

  অনলাইন ডেস্ক

  প্রকাশ : 

আমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব: শেখ রেহানা
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান ‘মুক্তির মহানায়ক’—এ শুরুর দিকে গতকাল রাতে কামাল চৌধুরীর লেখা ও নকীব খানের সুরারোপিত উত্সব সংগীত ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা’ গানটি পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনামা সব সংগীতশিল্পীরা। তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটো কন্যা শেখ রেহানা। এরপর বাবার জন্মশতবর্ষে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতির ছোটো মেয়ে শেখ রেহানা।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা ও সালাম। আজ ১৭ মার্চ ২০২০। আমাদের প্রাণের প্রিয়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী আজ।

এই দিনে আমরা সকলে মিলে অঙ্গীকার করি—আমাদের যা কিছু আছে, তাই দিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব। সুন্দর, সমৃদ্ধ এবং দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও নিরক্ষরতামুক্ত দেশ গড়ব। সোনার বাংলাকে ভালোবাসব। পরশ্রীকাতরতা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখব। ঘরে ঘরে মুজিবের আদর্শের দুর্গ তৈরি করে তার আলো ছড়িয়ে দিব। কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমার বাবা আমাদের মাঝে নেই। তিনি আছেন কোটি মানুষের হূদয় জুড়ে।

এই দিনে আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি মুজিবের রত্নগর্ভা মা শেখ সায়রা খাতুন এবং বাবা শেখ লুত্ফর রহমানকে। আরো স্মরণ করি চিরদিনের সুখে-দুঃখে মরণের সাথী তার প্রিয় ‘রেণু’-কে (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব)। বাবা বলতেন, ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। একটা মানুষ দেশের জন্য, মানুষের জন্য কতখানি ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তা আমরা খুঁজে পাই তারই লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে

কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি তিনি। লোভ-লালসা ভোগ-বিলাস থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন, করেননি আপস। মানব কল্যাণই ছিল তার ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাসে-নিশ্বাসে। এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আসেন। আসলেও তারা ক্ষণস্থায়ী হন। আমার বাবা আমাদের মাঝে নেই। তিনি আছেন কোটি মানুষের হূদয় জুড়ে।

আজকে এই দিনে আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আমরা সবাই মিলে হাত তুলে দোয়া করি সর্বশক্তিমান আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয়তু মুজিব।’

  • সর্বশেষ - রাজনীতি