ময়মনসিংহে মোহাম্মদ আলী ও জাহেদা ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু : অসহায়দের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ নগরীতে খন্দকার মোহাম্মদ আলী ও জাহেদা ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করেছে। নতুন এই ফাউন্ডেশনের শুভাকাঙ্খী ছাড়াও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খন্দকার বাকী বিল্লাহ্ উপস্থিত সকলের কাছে ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। এ সময় জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি উত্তম চক্রবর্ত্তী রকেট ও খন্দকার জোবায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ফাউন্ডেশন শুক্রবার নগরীর দি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশন স্কুল প্রাঙ্গণে গরীব ও অসহায়দের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে। জেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাডেভোকেট আজাহারুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান ছাড়াও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খন্দকার মোহাম্মদ আলী ১৯৩৯ সালে পাবনা জেলার সুজানগরের গাবগাছী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে নান্দিনা হাই স্কুলে এবং ১৯৬২ সালে ময়মনসিংহের দি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশন স্কুলে যোগদান করেন। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালে ইন্তেকাল করেন। শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে মরহুম খন্দকার মোহাম্মদ আলীর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারীভাবে সংবর্ধনা পেয়েছেন। সফল শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জাহেদা মোহাম্মদ। ব্যক্তি জীবনে তিনি ধার্মিক ও মিশুক ছিলেন।
এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম হবে ধর্মীয়, সামাজিক ও শিক্ষা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। এর মধ্যে মসজিদ ও মাদরাসায় দান, বিভিন্ন উৎসবে গরীব ও অসহায়দের উপহার সামগ্রী, এতিম ও অসহায়দের আর্থিক সহযোগিতা, বিধবা ও বয়স্কদের আর্থিক সহযোগিতা, এতিম ও গরীব বিবাহযোগ্য মেয়েদের আর্থিক সহযোগিতা, গরীব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহযোগিতা, এতিম, অসহায় ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী, এতিম, অসহায় ও দরিদ্রদের শীতবস্ত্র বিতরণ, গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করা এবং রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা।