, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

আজারবাইজান সীমান্তে ইরানের ব্যাপক সামরিক মহড়া

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  প্রকাশ : 

আজারবাইজান সীমান্তে ইরানের ব্যাপক সামরিক মহড়া

ইরানের সামরিক বাহিনী দেশটির আজারবাইজান সীমান্তের কাছাকাছি ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য এ মহড়া শুরু করে ইরান। অন্যদিকে আজারবাইজানের সঙ্গে ইসরায়েলের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শুক্রবার (১ অক্টোবর) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমের একটি অনির্দিষ্ট এলাকায় ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার, কামান ও ব্যাপক সৈন্য মোতায়েন করেছে ইরান।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এতে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি কিছু দূর-পাল্লার ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্রোসমূহের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

ইরান জানিয়েছে, তাদের চিরশত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে তার উদ্বিগ্ন। কারণ ইসরায়েল প্রতিনিয়ত আজারবাইজনের সেনাবাহিনীকে হামলা করতে সক্ষম এমন উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

বৃহস্পতিবার তেহরানে আজারবাইজানের নতুন দূতকে স্বাগত জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইরান তার জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে জায়নবাদী শাসনের (ইসরায়েলি) উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না। এ ব্যাপারে যা যা প্রয়োজন তা করা হবে।

সামরিক মহড়ার সময় ইরানি সেনাবাহিনীর কমান্ডার কিউমারস হায়দারি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, বিতর্কিত নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চলে আইএসআইএস যোদ্ধাদের উপস্থিতি নিয়ে ইরান উদ্বিগ্ন।

এ সপ্তাহের শুরুতে আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন পরিকল্পিত এ সামরিক মহড়ায় তিনি হতবাক।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি দেশেরই অধিকার রয়েছে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডে সামরিক মহড়া চালানোর। এটা তাদের সার্বভৌম অধিকার। কিন্তু সেটা এখন কেন? তাও আবার আমাদের সীমান্তে কেন? সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গনের পর এই প্রথম ইরান আমাদের সীমান্তে এমন মহড়া চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গত মাসে দুই ইরানি লরি চালককে আটক এবং আজারবাইজান কারাবাখ অঞ্চল দিয়ে চলা ইরানি ট্রাকের ওপর রোড ট্যাক্স আরোপ করায় প্রতিবেশী দেশ দুইটির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।

  • সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক