, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

সুদিন ফিরছে কাঁসা শিল্পে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

সুদিন ফিরছে কাঁসা শিল্পে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য কাঁসা শিল্প ’৯০-এর দশকে নানা কারণে বিলুপ্ত হতে বসেছিল। কিন্তু বর্তমানে তা আবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। এই শিল্পে ফিরে আসছে সুদিন। তবে বিলুপ্তপ্রায় এই শিল্পের অনেক কারিগরই অন্য পেশায় চলে গেছে। আবার অনেকেই বাপ-দাদার এই পেশা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।

এলাকার মানুষের কাছে প্রচলিত রয়েছে, দেশ-গ্রামের লোকজনের ঘুম ভাঙতো মোরগের ডাক শুনে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামোশংকরবাটী, আজাইপুর, আরামবাগ, বটতলাহাট ও সোনারমোড় এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙতো কাঁসার কারিগরদের হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে। তবে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর এখন আবার মানুষের ঘুম ভাঙছে কাঁসার কারিগরদের হাতুড়ির টুং-টাং শব্দে। কাঁসা-পিতলের কারিগররা কাঁচামাল আগুনে পুড়িয়ে গলানোর পর তৈরি করেন কাঁসার থালা, বাটি, কলস, জগ, বদনাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কাঁসারী এলাকা নামে খ্যাত শংকরবাটী মহল্লার কাঁসার কারখানার মালিক নূর আমিন বলেন, কাঁসা-পিতলের কাঁচামাল পরিবহনে পুলিশ ও প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ করা হলে এ শিল্পের প্রসার ঘটবে। এ ছাড়া সার্কেল মেশিন হলে কাঁসার আসবাবপত্র তৈরি করা সহজ হবে দামও কমবে। তবে কাঁসা শিল্প এগিয়ে নিতে কাঁচামালের দাম কমানোসহ সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মো. আবদুল ওয়াহেদ বলেন, জেলার ঐতিহ্য কাঁসা শিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে এ খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংকগুলোকেও অর্থ সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। নামোশংকরবাটী, আজাইপুর, আরামবাগ, বটতলাহাট ও সোনারমোড় এলাকার কয়েক হাজার পরিবার কাঁসার কারিগর হিসেবে তাদের বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন। সরকারি সহায়তা পেলে এই শিল্প অতীতের মতো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে।

  • সর্বশেষ - ফিচার