, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

'পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে, রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া অন্য পথ নেই'

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

'পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে, রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া অন্য পথ নেই'

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দিকে দিকে উত্তাল হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। কোথাও রেললাইন রুখে, কোথাও মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে সাধারণ মানুষ। এমনকি আজ শনিবার লালগোলার কৃষ্ণপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এ ধরনের পরিস্থিতি চলতে থাকলে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া অন্য পথ খোলা থাকবে না বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। একই সঙ্গে এই অশান্তির ঘটনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তৃণমূল নেতাদের দায়ী করলেন তিনি।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা ব্যানার্জির ভূমিকার সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের চলতি অশান্তি নিয়ে কোনো টুইট না করায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করছে তারা। বিজেপির মতে, মমতাকে দেখে নিরোও উৎসাহিত হতেন।

নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রেক্ষিতে রাজ্যে উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে আজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাহুল সিনহা। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এই আন্দোলন বন্ধ করার জন্য দেখামাত্র গুলি চালানোর আদেশ দিন। পাশাপাশি, নতুন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে রাজ্যজুড়ে পাল্টা প্রচারে নামছে বিজেপি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে পদ্ম শিবিরেরে পক্ষ থেকে দু'টি মিছিল করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি ইস্যুতে শুক্রবারের পর শনিবারও উত্তাল রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের পাশাপাশি বাসে আগুন ধরানোর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। হাওড়ায় বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। 

অন্যদিকে, কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেলও। অবরোধ-বিক্ষোভের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে থমকে রয়েছে বহু ট্রেন। সাঁকরাইল-সহ একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে বহু দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন। 

এদিকে, সাঁকরাইল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।

  • সর্বশেষ - ইলেকশন স্পেশাল