হজের মাসের প্রথম ১০ দিনের ১০ আমল
প্রকাশ :
হজরত ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে কোনো দিনই এত অধিক প্রিয় নয়, আর না তাতে আমল করা, (জিলহজের) এ দশ দিনের তুলনায়। সুতরাং তোমরা তাতে (জিলহজের প্রথম ১০ দিন) বেশি বেশি তাহলিল, তাকবির ও তাহমিদ পাঠ কর।’ (তাবারানি) হজের মাসের প্রথম দশকের ১০টি বিশেষ আমল তুলে ধরা হলো-
- অধিক হারে নেক আমল করা।' (বুখারি ও মুসলিম)
- পাপের পথে না চলা।' (বুখারি ও মুসলিম)
- সামর্থ্যবান হলে হজ আদায় করা।' (বুখারি ও মুসলিম)
- সামর্থ্য থাকলে কুরবানি আদায় করা।' (সুরা কাউসার, তিরমিজি)
- কুরবানি দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্য এ ১০ দিন নখ, চুল ইত্যাদি না কাটা।' (মুসলিম)
- আরাফার দিন (৯ জিলহজ হজের দিন) রোজা পালন করা।' (মুসলিম)
- ঈদের সুন্নাতগুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করা এবং ঈদের নামাজের পর আল্লাহর নৈকট্য লাভে পশু কুরবানি করা।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের এ আমলগুলো করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব। আর তাতে বান্দা লাভ করবে দুনিয়া ও পরকালের অসংখ্য নেয়ামত।