ইউরোপে
বেশ কিছু দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর এবার জার্মানিতেও
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জার্মানির উত্তর
রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে পাঁচ ব্যক্তির করোনভাইরাসে আক্রান্তের খবর
পাওয়া গেছে।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন স্পান এ রোগের
প্রাদুর্ভাব যেন দ্রুত জার্মানিতে না ছড়িয়ে পড়ে বা মহামারীর আকার না
ধারণ করে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন।
উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ ঘোষণায় বলেছেন, সম্ভাব্য আক্রান্ত ব্যক্তিদের সন্ধান করছে তারা।
এ সপ্তাহে রাজ্যের হাহাইসনবার্গ জেলার গ্যাংগেল্টে স্থানীয় এক কার্নিভ্যাল উৎসবে প্রায় ৩০০ মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। এখন তাদের ও তাদের পরিবার–পরিজনদের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে কি না, তা শনাক্ত করতে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে যেতে বলা হয়েছে। মূলত কার্নিভ্যাল উৎসবে যাওয়া কয়েক ব্যক্তির মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরই কোয়ারেন্টাইনে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের রাজধানী ডুসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটি ক্লিনিক গতকাল বুধবার জানিয়েছে, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাদের ক্লিনিকে দুজনের চিকিৎসা চলেছে। অন্যদেরও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছে। হাহাইসনবার্গ জেলার কিন্ডারগার্টেনগুলো আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার জার্মানিতে ট্রেনের এক যাত্রীর করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে, পুলিশ ট্রেনটি ইডার ওবারস্টাইনে থামিয়ে দেয়। এই যাত্রী ইতালিতে তাঁর ব্যবসায়িক কাজ শেষে ফিরছিলেন।
দুই সপ্তাহ আগে জার্মান সরকার চীনে বসবাসরত নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে। জার্মান সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে ফিরিয়ে আনা নাগরিকদের দেহে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত ৪০০
ইতিমধ্য ইতালিতে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪০০ ব্যক্তির খবর পাওয়া গেছে। উত্তর ইতালির
শিল্পাঞ্চল মাইল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী মিলান ও আশপাশের শহরগুলোতেই এ
সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। ইতিমধ্যেই দেশটিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ
মিলান শহরের দক্ষিণ–পূর্বে ১০টি পৌরসভা অঞ্চলকে রেড জোন বলে বা ক্লোজ
কোয়ারেন্টাইন হিসেবে দেখছে।
ইতিপূর্বে মধ্য ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও সুইজারল্যান্ডে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।