বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সহজ গ্রুপেই পড়েছে ইউরোপের জায়ান্টরা
প্রকাশ :
ইউরোপ থেকে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে কে? প্রার্থী ৫৫টি দেশ। যোগ্যতা অর্জন করবে ১৩টি দেশ। কারা পাবে কাতারের টিকিট? নির্ধারিত হবে বাছাই পর্ব থেকে।
বাছাই পর্ব শুরু হবে আগামী বছর মার্চ মাস থেকে। তার আগেই ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হলো বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ইউরোপ অঞ্চলের গ্রুপিং। মোট ৫৫ দলকে ভাগ করা হয়েছে ১০টি গ্রুপে। সংখ্যার গরমিলের কারণে পাঁচটি গ্রুপকে করা হয়েছে ৫ দল বিশিষ্ট। আর বাকি ৫টি দলকে করা হয়েছে ৬ দল বিশিষ্ট।
বাছাই পর্বের নিয়মানুযায়ী ১০ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। বাকি তিনটি স্থান নির্ধারিত হবে ১০ গ্রুপের রানারআপ এবং উয়েফা নেশন্স লিগের দুই সেরা গ্রুপ বিজয়ী (যারা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি কিংবা রানারআপ দলেও নেই, তেমন দুটি দেশ) নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে প্লে-অফ তথা দ্বিতীয় রাউন্ড। এখান থেকে নির্ধারিত হবে বাকি ৩ দল।
২০২১ উয়েফা নেশন্স লিগ ফাইনাল রাউন্ডের চার দলকে রাখা হয়েছে ৫ দল বিশিষ্ট গ্রুপে। এই সুবিধাটুকু উয়েফা থেকে করে দেয়া হয়েছে। এই চারটি দল হচ্ছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি এবং স্পেন। গত উয়েফা নেশন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকেও রাখা হয়েছে ৫ দল বিশিষ্ট গ্রুপে।
ইংল্যান্ড মনে করছে, তারাই পড়েছে সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে। কারণ তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে রবার্ট লেওয়ানডস্কির পোল্যান্ডের। এছাড়া ২০২০ ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে নাম লেখানো হাঙ্গেরিও রয়েছে তাদের গ্রুপে। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনেও পথ কিছুটা কঠিন। সুইডেন এবং গ্রিসের মত হুমকি তৈরিকারী দেশগুলো রয়েছে তাদের গ্রুপে।
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে পথটা খুবই পরিষ্কার। যদিও ‘ডি’ গ্রুপে তাদের সামনে বড় হুমকির নাম হচ্ছে ইউক্রেন। বর্তমান সময়ে সাড়া জাগানো স্ট্রাইকার নরওয়ের আরলিং হালান্ড হতে পারেন নেদারল্যান্ডসের জন্য বড় হুমকি। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়ে আসার পর গত বিশ্বকাপেই খেলতে পারেনি ডাচরা। এবার তাদের সামনে তাই মিশনটা বেশ কঠিনই।
চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালির সামনে হুমকি হতে পারে ইউরোপের আরেক জায়ান্ট সুইজারল্যান্ড। উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং বুলগেরিয়াও বড় ধরনের হুমকি হতে পারে আজ্জুরিদের জন্য।
দেখে নিন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইউরোপের দেশগুলোর গ্রুপিং