, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

মহামারিতে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা বেশি দৃশ্যমান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

মহামারিতে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা বেশি দৃশ্যমান

করোনা মহামারির এ সময়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি দৃশ্যমান হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, অসারতাসহ এ ধরনের রোগ নিরাময়ে বিশ্বব্যাপী ফিজিওথেরাপি একটি স্বীকৃত, কার্যকরী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা পদ্ধতি। বিশেষ করে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পরও আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতা নিরসনে ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি।

‘বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ফিজিওথেরাপি পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘লং কোভিড এবং পুনর্বাসন’। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতিপাদ্যটি তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে তৎকালীন রিহ্যাবিলিটেশন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতাল) ফিজিওথেরাপি শিক্ষা ও চিকিৎসার সূচনা হয়। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনাজনিত কারণে প্রতিবন্ধকতার শিকার হন। পঙ্গুত্ববরণকারী এসব মানুষের স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) ফিজিওথেরাপি বিভাগ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে প্রতি বছর ৮০ হাজার রোগীকে সেবা প্রদান করছে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধকতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রেখে চলছে। আমি আশা করি, বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবে।

  • সর্বশেষ - আলোচিত খবর