, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

দূর হোক ব্ল্যাক হেডস

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

দূর হোক ব্ল্যাক হেডস

ব্ল্যাক হেডস এক ধরনের ব্রণ। সাধারণত মুখের এবং নাকের ওপর ব্ল্যাকহেডস হলেও অনেকের ক্ষেত্রে কানে এমনকি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে হরমোন পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা হয়।

ব্ল্যাক হেডসের রং গাঢ়। কারণ তেল, মৃত কোষ লোমকূপে আটকে থেকে বাতাসের সংস্পর্শে কালচে হয়ে যায়। এর থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। তবে দিনে দুবার মুখ ধোয়া ছাড়াও ত্বক এক্সফলিয়েট করা উপকারী। ফেমিনাডটইনয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

দিনে দুবার মুখ ধোয়া

ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুবার- সকাল ও রাতে ঘুমের আগে ভালো মতো মুখ ধোয়া প্রয়োজন। এ ছাড়াও ত্বকে ঘাম যেন না বসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাজ শেষে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

মাঝে মধ্যে এক্সফলিয়েশন

এ ক্ষেত্রে মৃদু এক্সফলিয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে। আলফা ও বেটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (এএইচএ এবং বিএইচএ) সমৃদ্ধ মৃদু অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড এক প্রকার বিএইচএ এবং গ্লাইকোলিক ও ল্যাকটিক অ্যাসিড এক ধরনের এএইচএ।

চারকোল মাস্ক ব্যবহার

চারকোল ‘ডেটক্সিফাইং’ হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এটা ময়লা ও দূষণ লোমকূপ থেকে দূর করতে সহায়তা করে।

ঘরোয় স্ক্রাবে সমাধান

মধুর সঙ্গে ১ চা-চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ঘুমাতে হবে। সকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

সামান্য চিনি ও জলপাইয়ের তেল এক সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে হবে। এটি মুখে মেখে আলতো মালিশ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

লেবুর রসের সঙ্গে লবণ, দই এবং মধু মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করা যেতে পারে। এটি এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করবে। লেবুর রসের সঙ্গে গোলাপজল বা দুধ মিশিয়ে ক্লিনজার বানানো যায়।

মধু আর সি সল্ট একসঙ্গে লাগিয়ে যেখানে ব্ল্যাকহেডস রয়েছে সেই জায়গায় লাগিয়ে নিন। এরপর ৫ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সি সল্টে ডেডস্কিন চলে যায়, আর ত্বক করে উজ্জ্বল।

এএইচএ সমৃদ্ধ সেরাম

আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড এক প্রকার রাসায়নিক এক্সফলিয়েন্ট যা ব্ল্যাক হেডস, মৃত কোষ, দাগ এবং ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের উপরিভাগের ‘এপিডার্মিস’ স্তর সুরক্ষিত ও উন্নত করে, ইলাস্টিন বাড়ায় এবং কোলাজেন আঁশের পরিমাণ বাড়িয়ে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

রেটিনল ক্রিম

রেটিনল লোমকূপ উন্মুক্ত করে, ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস প্রতিরোধে সহায়তা করে।

  • সর্বশেষ - অন্যান্য