, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ অনলাইন সংস্করণ

৩১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাওছার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

  প্রকাশ : 

৩১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাওছার

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. কাওছার (৬৩) দীর্ঘ ৩১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। তবে, শেষরক্ষা হয়নি তার। রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২০ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৯ জুন) রাতে গুলশানের বারিধারায় অভিযান চালিয়ে কাওছারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কাওছার ও আজাহার মানিকগঞ্জের চর হিজুলী গ্রামে বাস করতেন। একই এলাকায় চাষাবাদ এবং একসঙ্গে ইরি ধানের খেতে পানি সেচের ব্যবসা করতেন। সে সুবাদে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে আজহারের বিবাহিত বোন অবলার সঙ্গে কাওছারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে অবলা, তার তৎকালীন স্বামী ফালান, ওমর, রুহুল আমিন, আসমান এবং রফিজসহ কয়েকজন কাওছারের পক্ষ নেন। কাওছার আজহারের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। আজহার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন আজাহারকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছোট ভাই মো. আলী হোসেন বাদী হয়ে কাওছারসহ সাতজনকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে কাওছারকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাওছার ২ মাস হাজত খেটে ১৯৯১ সালে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা কাওছার, ওমর, রুহুল আমিন, আসমান এবং রফিজকে অভিযুক্ত করে একই বছর ডিসেম্বরে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অবলা ও তার স্বামী ফালানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চার্জশিট থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ - অন্যান্য